ক্ষমতায় এলে অর্থনৈতিক গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: আমীর খসরু Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে যদি বিএনপি ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসে, তবে তারা সর্বপ্রথম রাজনৈতিক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সমুন্নত করতে গুরুত্ব দেবে। পাশাপাশি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটানোর জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এতদিন আমরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক গণতন্ত্রের কথা বলেছি, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে অর্থনীতির সব স্তরে গণতন্ত্র আনা হবে। এর মূল লক্ষ্য হলো জনগণের বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণিকে মূলধারার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর একটি হোটেলে বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরামের আয়োজন করা ‘বাণিজ্য সংলাপ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্প্রতি পদত্যাগকারী সভাপতি প্রকৌশলী আলী আহমেদ। বাণিজ্য সংলাপে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য ও পরবর্তী প্রশ্নোত্তর পর্বে আমীর খসরু দেশের অর্থনীতির অতীত ও বর্তমান পরিস্থিতির বিশ্লেশণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রই অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে ব্যবসার সহজতর পরিচালনা নিশ্চিত করতে ব্যাপক সংস্কার ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার মাধ্যমে অর্থনীতিতে নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন, অতি নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণশীল অর্থনৈতিক সংস্কৃতি কিছু অসাধু চক্রের হাত ধরে ব্যবসার ব্যয় বৃদ্ধি করছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এর থেকে মুক্তি পেতে, দুর্নীতিবাজ গোষ্ঠীর ক্ষমতা ভেঙে দিয়ে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হাতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। রপ্তানি ও জিডিপির অনুপাতের ভারসাম্য রক্ষা করে অর্থনীতির যথাযথ সক্ষমতা কাজে লাগানোর জন্য বিএনপি একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দেন তিনি। ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধি ও স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। SHARES রাজনীতি বিষয়: