নিরাপত্তার জন্য এইচওয়ানের ব্যক্তিগত গার্ড ও অস্ত্রের লাইসেন্স পাচ্ছেন অনেক নেতা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারের নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত গার্ড এবং অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান শুরু হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির নেতা ও সমন্বয়কদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তবায়িত। ইতিমধ্যে, আন্দোলনের পরিচিত মুখ নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের নেতা সারজিস আলম, এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক তাসনিম জারা’র ব্যক্তিগত গার্ড ও অস্ত্রের লাইসेंस প্রদান করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে যাতে তাঁদেরকে অস্ত্রচালনের অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্য অনেক নেতার ক্ষমতাসম্পন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত, যেমন জামায়াতের ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বিএনপি প্রার্থীরাও তাদের জন্য গার্ড চেয়ে আবেদন করেছেন। এ ছাড়া, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকি, আরও কিছু সংসদপ্রার্থী ও দলের নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শহীদ ওসমান হাদির পরিবারকেও পুলিশি নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে এবং হাদির এক বোনের জন্য ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স ও গার্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে দমনমূলক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা দেখা দিয়ায় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাদের জন্য এই গার্ড ও লাইসেন্সের আবেদন আসছে, এবং ঝুঁকির পরিমাণ তুলে ধরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুলিশের আইজিপি বলেছেন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য সশস্ত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু আছে, তবে আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা রিকশা বা পাবলিক বাসে চলাফেরা করায় তাদের নিরাপত্তা ব্যাহত হতে পারে বলে উঠছে। তাই, এই সমস্যার সমাধানে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা চলছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। উচ্চপর্যায়ের আলোচনা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ঝুঁকির পরিমাণ বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। পুলিশ বলছে, নির্বাচন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এই নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে, যাতে করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায় এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিরাপদে সম্পন্ন হয়।