ডিএসইর মূলধন সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা কমাল সপ্তাহে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত এক সপ্তাহে মূলধন মারাত্মকভাবে কমে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা, যা আগে ছিল ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই মূলধন সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে গেছে, যা মোট ১.৫৩ শতাংশ পতন।

সপ্তাহের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডিএসইর সব সূচকই পতনমুখী ছিল। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩২.৪২ পয়েন্ট বা ২.৬৭ শতাংশ, অন্যদিকে ডিএসই-৩০ সূচক has ৪৩.৪৩ পয়েন্ট বা ২.২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ডিএসইএস সূচকও কমেছে ৩৩.৬৬ পয়েন্ট বা ৩.২৫ শতাংশ।

আর্থিক সূচকের এই পতনের সাথে লেনদেনের পরিমাণও কমে গেছে। পুরো সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৪৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৫৩৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা কমে গেছে।

প্রতিদিন গড়ে লেনদেনের পরিমাণও কমে গেছে। চলতি সপ্তাহের প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর ফলে, প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন কমেছে প্রায় ৩০ কোটি ২২ লাখ টাকা বা ৭.২৪ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে চেঞ্জের পরিশেষে, ডিএসইর ৩৮৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের শেয়ার কেনাবাটা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৩৩৫টির মধ্যে দাম কমেছে, এবং ২২টির দাম অপরিবর্তিত থাকায় বোঝা যায় পুঁজিবাজারে অসুবিধার ঘূর্ণিবাত।

অন্যদিকে, দেশের অপর বড় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও নেতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ১.৭৮ শতাংশ ও ১.৭২ শতাংশ কমে গেছে। সিএসই-৫০ সূচক ১.৭৭ শতাংশ ও সিএসআই সূচক ২ শতাংশ কমে এই সপ্তাহে অবস্থান করছে যথাক্রমে ১,০৪৬.৩২ পয়েন্ট ও ৮৫৮.১৮ পয়েন্টে। সূচকটি বর্তমানে রয়েছে ১২,০৯০.৫৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর লেনদেন প্রায় ৪০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কমে গেছে।

সপ্তাহের শেষে, মোট ২৫০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের শেয়ার লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে, এর মধ্যে ৭১টির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, ১৫৯টির দাম কমেছে এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পুঁজিবাজারের এই হতাশাজনক পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করে দেখাচ্ছে যে, বিনিয়োগকারীরা জোরালো চাপে থাকছে।