এশিয়ার বাজারে চালের দাম চড়ছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

চীনের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রপ্তানি চুক্তি এবং আঞ্চলিক বাজারে চালের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গত সপ্তাহে এশিয়ার বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, থাইল্যান্ডে চালের দাম সপ্তমাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। একই সময়ে ভারত ও ভিয়েতনামেও চালের রপ্তানির মূল্য বেড়েছে। এই দাম বৃদ্ধির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মুদ্রার বিনিময় হারের পরিবর্তন, নতুন ক্রয়াদেশের প্রবাহ, এবং বিভিন্ন দেশের বাজারের চাহিদা। খবর অনুযায়ী, বিজনেস রেকর্ডার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

থাইল্যান্ডে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম গত সপ্তাহে টনপ্রতি ৪১৫ ডলারে পৌঁছেছে, যা ৮ মে-পরবর্তী সর্বোচ্চ। আগে ওই সময়ে এর দাম ছিল ৪০০ ডলার। ব্যাংককের এক ব্যবসায়ী জানান, নভেম্বরে চীন থেকে থাইল্যান্ডে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির ঘোষণা দেওয়ার পরে এই বাজারে দর বৃদ্ধির সূচনা হয়। এ ছাড়া, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দ্বিতীয় মৌসুমের ধানের ফলন হবে, যা বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকায় সরবরাহের কোন বড় ব্যাঘাত দেখা দিতে পারেনি। ফলে, সরবরাহের পরিস্থিতি বর্তমানের মতো স্থিতিশীল থাকতে পারে।

ভারতেও চালের রপ্তানির মূল্য কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। নয়াদিল্লির এক রপ্তানিকারক বলছেন, দর তুলনামূলকভাবে কম থাকায় এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু ক্রেতা ছোট পরিসরে চাল আমদানি শুরু করেছেন, যা ধীরে ধীরে রপ্তানি চাহিদা বাড়াচ্ছে। চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদ্যযুক্ত সিদ্ধ চালের দাম পৌঁছেছে টনপ্রতি ৩৪৮-৩৫৬ ডলারে, যেখানে আগের সপ্তাহে এটি ছিল ৩৪৭-৩৫৪ ডলার। একই সময়ে, ৫ শতাংশ খুদ্যযুক্ত আতপ চালের দাম হয়েছে টনপ্রতি ৩৪৫-৩৫০ ডলার। ডলার-রুপির বিনিময় হারে রেকর্ড নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে, যার কারণে রেপোর্টের মাধ্যমে জানান হয়েছে যে, রুপির বিনিময় হার কমে যাওয়ায় রপ্তানি থেকে রোজগার বেড়েছে।

ভিয়েতনামেও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীদের তথ্যানুসারে, গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে ৫ শতাংশ খুদ্যযুক্ত চালের দাম দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৩৭০-৩৭৫ ডলারে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৬৫-৩৭০ ডলার। এটি ৬ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। হো চি মিন শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি বাজার থেকে ভিয়েতনামের চালের চাহিদা বেড়চ্ছিল বলে মনে করছেন তারা। থাইল্যান্ডের তুলনায় ভিয়েতনামের চালের দাম এখনো উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

বিশ্লেষকদের মতে, বড় আমদানিকারকদের নতুন ক্রয়াদেশ এবং মুদ্রাবাজারের পরিবর্তনের ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহে এশিয়ার বাজারে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।