ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

গাজায় ‘অস্থায়ী নিরাপত্তা বাহিনী’ গঠনের পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র চাপের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানের বৈঠকে উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় এসেছে, যা মুনিরের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার সমান। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জেনারেল মুনির যুক্তরাষ্ট্র সফর করে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। এই সফরে তাদের তিনবারের বেশি সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে মূল আলোচনার বিষয় হবে গাজায় একটি নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের প্রকল্পটি।

ট্রাম্পের ২০ দফার পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মুসলিম দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের কথা, যা এলাকাটির পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে এই প্রকল্পের মূল চ্যালেঞ্জ হলো হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি, যা নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশ উদ্বিগ্ন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাজায় সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা না করলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হতে পারেন, যা পাকিস্তানের অর্থ ও সামরিক সহযোগিতা পেতে বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মুনিরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, যার কারণে তিনি হোয়াইট হাউজে বিরল সম্মানও পেয়ে থাকেন।

অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নেতা আসিম মুনির। তার মেয়াদ সম্প্রসারণ করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে, একই সঙ্গে তিনি ফিল্ড মার্শাল উপাধি পেয়েছেন এবং যেকোনো ফৌজদারিক মামলার থেকেও আজীবন মুক্তি নেন। তবে, এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে বড় অস্কার হবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ জনমতের বিষয়টি। গাজায় সেনা পাঠানো বা হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিলে সেখানে ইসরায়েল-বিরোধী ও ইসলামপন্থী দলগুলোর তীব্র প্রতিবাদ ও সহিংস আন্দোলনের আশঙ্কা রয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি তারা বিবেচনায় নিয়েছে, তবে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ তাদের কর্মসূচির মধ্যে নেই। অপরদিকে, বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে মুনিরের সাক্ষাৎ ও বৈঠক গাজা পরিকল্পনার অংশ বলে ধারণা করেছেন বিশ্লেষকেরা। এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের সন্তুষ্টি অর্জন ও নিজের দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে গিয়ে জেনারেল মুনিরের সামনে বেশ বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।