মানবিক নেতৃত্ব, বৈশ্বিক দৃষ্টি ও বাংলাদেশের সম্ভাবনার অন্দরমহল Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভুঁইয়া বাংলাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি মানবিক মূল্যবোধ, বৈশ্বিক সংযোগ এবং কৌশলগত উন্নয়নমূলক মনোভাবকে একত্রিত করে কাজ করে চলেছেন। তার বহুমুখী উদ্যোগ—দেশ ও প্রবাসে মানবিক সেবা, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক কার্যক্রম এবং উন্নয়নভিত্তিক রাজনৈতিক দর্শনের মাধ্যমে—আজ শুধু একটি জেলার নয়, বাংলাদেশেও একটি সম্ভাবনাময় নেতৃত্বের রূপরেখা বাস্তবায়ন করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার রাজনীতি একমুখী বিভাজনের বিপরীতে সংগঠনভিত্তিক ঐক্য ও অংশগ্রহণের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, যা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দেয়। একজন মানবিক নেতারূপে তিনি করোনাকালীন সময়ে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। ২০২০ সালের বৈশ্বিক করোনার মহামারীর কঠিন সময়ে, যখন বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম এবং সাধারণ মানুষ অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত, তখন তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে চিকিৎসা, খাদ্যসামগ্রী, পিপিই, মাস্কসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। নাইজেরিয়ার ওইও স্টেটের একজন সিনেটর করোনা আক্রান্ত হলে নাইজেরিয়া সরকার বিশেষভাবে তার সাহায্য চান। বাংলাদেশে তৈরি বিশেষ করোনা প্রতিষেধক ওষুধ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ আসে—এবং এই উদ্যোগের মাধ্যমে আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভুঁইয়া আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশের মানবিক নেতৃত্বের মানোন্নয়নে অবদান রাখেন। তার এই মানবিক প্রয়াসের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পাওয়া, বাংলাদেশের জন্য গর্বের এক মুহূর্ত। বিশ্বব্যাপী জলসংকট উপলব্ধি করে তিনি ‘ব্লু গোল্ড’ ধারণাকে সামনে রাখতে সুদৃঢ় পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাদেশের বিশাল মিঠাপানির ভাণ্ডারকে ‘ব্লু গোল্ড’ ইকোনমির নেতৃত্বে এগিয়ে নিতে তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে পানি রপ্তানি, পানি কূটনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল অবকাঠামো ও সম্পর্কযুক্ত প্রকল্পের প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। তার ধারণা, বাংলাদেশ মোটেও শুধু পানিসংকটে ভুক্তভোগী দেশ নয়, সঠিক পরিকল্পনা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এটি বৈশ্বিক পানির সমস্যার সমাধানেও অগ্রগামী হতে পারে। এছাড়াও, তিনি পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ বায়ুদূষণ কমানোর বিষয়েও আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করছেন। জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে, শহরাঞ্চলে সবুজায়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তার ধারণা হচ্ছে—অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষা একসাথে সম্ভব, যদি নীতিনির্ধারণে সত্যিকার স্বাধীনতা ও দূরদর্শিতা থাকে। আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভুঁইয়া রাজনৈতিক জীবনে নানা নির্যাতনের শিকার হলেও তার অদম্য প্রত্যয় অটুট। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হন, তাকে গুম করা হয় এবং তার সহকারী আজাদকেও হয়রানি করা হয়। এই নির্যাতন তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতবিক্ষত করলেও, তার মানবিক ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি কখনো দুর্বল হয়নি। চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও, তার দৃঢ়তা ও সাহস কোনোভাবেই ভাঙতে পারেনি তাকে। তিনি মুক্তির পর আরও শক্তিশালী সামর্থ্য ও আদর্শের সাথে ফিরে আসেন। বাংলাদেশের বাইরে তার অসামান্য নেটওয়ার্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দৃঢ় সম্পর্ক। এই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তিনি দেশের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করে যান। তিনি বা তার প্রতিষ্ঠা করা ‘ভূঁইয়া গ্লোবাল ফাউন্ডেশন’ দেশের সামাজিক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে চলেছেন। তার ব্যবসা ক্ষেত্র বিস্তৃত—গার্মেন্টস, রিয়েল এস্টেট, আইটি, আমদানি-রপ্তানি এবং উন্নয়ন পরামর্শ। তার প্রতিষ্ঠান ‘গেলেন্স’ বিশ্বজুড়ে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ও খাতভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখছে। তিনি আবার বিশ্বাস করেন— বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে কেবল শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করাই নয়, বরং এই জনসংখ্যাকেই শত্রুর বিরুদ্ধে শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে তার। সেই লক্ষ্য সাধনে তিনি কারিগরি শিক্ষা, ভাষা শিক্ষা, বিদেশে কর্মী পাঠানোর প্রসারে কাজ করছেন। নগরায়ন ও যানজটের দুর্বিঃশ্বাস পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ঢাকা ও অন্যান্য শহরে কেবল কাঠামোগত অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থার সমন্বয় নিয়ে কাজ করছেন। তরুণ সমাজকে মাদকমুক্ত, উদ্যোক্তা ও ক্ষমতাসম্পন্ন করে তোলার জন্য টেকসই ও লাভজনক উদ্যোগে মনোযোগ দিচ্ছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার ও মর্যাদার জন্য তিনি কাজ করে চলেছেন। এতসব পরিশ্রম ও পরিকল্পনায় তিনি নিজেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের এক বনেদী সম্পদ বলে দাবি করেন। তার নেতৃত্বে একটি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, স্বচ্ছল ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপির মনোনয়ন পান, তবে তার এই নেতৃত্ব শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া বা তার নিজ এলাকারই প্রাচুর্য নয়, বরং পুরো দেশের জন্য একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ আধুনিক রাজনীতি এখন কেবল ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে নয়; এটি এখন আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব, মানবিক গ্রহণযোগ্যতা ও বৈশ্বিক অংশগ্রহণের জন্য। এই দিক থেকে, আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভুঁইয়া এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও বিএনপি উভয়ই নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে সক্ষম। SHARES সারাদেশ বিষয়: