সারাদেশে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির দমন করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনার পর গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামের বিশেষ অভিযান। এই উদ্যোগটি যৌথ বাহিনী পরিচালনা করে, যার মাধ্যমে গত দুই দিনে ১,০৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ছয়টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা গেছে।

নির্বাচনের পরিস্থিতি শান্ত ও নিরপেক্ষ রাখতে এই কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা আসে ওই দিনের জাতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির সভায়। সভায় বিজয় অর্জনের স্বার্থে অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোরতা অবলম্বন ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান চালাতে শুরু করে।

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পর্যন্ত، এই অভিযানে ১,০৪৩ জনকে আটক করা হয়। কেবল অবৈধ অস্ত্র হিসেবে বিদেশি পিস্তল, রামদা, তলোয়ার, চাকু ও রিচার্জেবল ‘স্টানগান’ উদ্ধার করা হয়। সবমিলে ৯০৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার জারি থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তারির প্রক্রিয়া চলমান।

অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে, যাতে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় এবং অচেনা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। যারা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘অস্ত্রের লুট ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমন ও আইনের আওতায় আনতে এই অভিযান আরও জোরদার ও বেগবান করা হবে।’

পুলিশের মুখপাত্র এএইচএম শাহাদাত হোসেন জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই যৌথ অভিযান সারাদেশে চলবে। উল্লেখ্য, এর আগে ১০ মাস আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়েছিল, যা গাজীপুরের ছাত্রজনতার উপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় নেওয়া হয়। ওই সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এই ব্যাপক অভিযান পরিচালিত হয়, যেখানে সন্ত্রাসীদের দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।