এনবিআর ঘোষণা: মোবাইল আমদানিতে শুল্ক কমানো হবে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫

নিজ দেশে মোবাইল ফোনের দাম হ্রাস করার লক্ষ্যে দেশীয় উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিকল্পনা করছে সরকার। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, ব্যবসা সহজতর করতে বিদেশি আমদানি করের পরিবর্তে ভ্যাট এবং আয়কর সংগ্রহের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, অবৈধ মোবাইল আমদানি রোধ করার জন্য শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী অন্য দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে ট্রেডের উপর অত্যধিক কর আরোপ করা হয়, যা মূলত দেশের স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষার জন্য। আজকের সভায় মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারাররা জানিয়ে দেন, শুল্ক কমালে কি হবে তাদের বিনিয়োগের ওপর। কারণ, আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যক্রম, যা আমদানি প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ করবে।

আবদুর রহমান খান বলেন, আমরা চাই মোবাইল ফোনের দাম কমে আসুক, এজন্য আমাদের দিক থেকে দুটি পথেই ছাড় দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মোবাইল ফোনের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে এবং কর আয়ের উৎস উন্নত করতে, জাতীয় ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার চালু করা আবশ্যক। তবে, এই প্রকল্পের কারণে গ্রে মার্কেটে আসা হাই-এন্ড ফোনের বড় অংশ এখনই বৈধ পথে আসবে, ফলে সরকারের রেভিনিউও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ও মূসক (ভ্যাট) যৌথভাবে ৬১.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন এবং সংযোজনের ভিন্নতার কারণে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাটের পরিমাণ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের মধ্যে। তবে, এনইআইআর চালু হলে অবৈধভাবে দেশের বাইরে থেকে আসা পুরোনো ফোনের ব্যাবসা বন্ধ হবে, এবং অবৈধ ফোনের অপারেটিও বন্ধ হতে পারে।

অবৈধ মোবাইল ফোনের প্রসঙ্গে মোবাইল ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি এপ্রিলে ধারাবাহিক বিক্ষোভ করেছিলেন, কারণ তারা মনে করেন, এনইআইআর চালু হলে দেশের বাজারে অবৈধ ফোনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে তিন মাসের জন্য দেশের বাইরে থেকে আসা অবৈধ মোবাইল ফোনের ব্যবসায় কিছু ছাড় দেওয়া হয়।