সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ সকাল থেকেই গ্রামজুড়ে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। মসজিদের মাইকে বারবার ঘোষণা শোনা যাচ্ছে—”কোয়েলহাট পূর্বপাড়া নিবাসি রাকিব উদ্দীনের দুই বছর বয়সী সন্তান সাজিদ মারা গেছে।” শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেককিড়ি কবরস্থানের সামনের ফাঁকা মাঠে জানাজা শেষে তাকে সেখানেই দাফন করা হবে। গ্রামের মানুষজন রাস্তা ধরে গা ঢাকার পাঞ্জাবি পরে, মাথায় টুপি পরে সাজিদের বাড়ির দিকে ছুটে আসছে। সবাই একবার দেখতে চান সেই নিষ্পাপ মুখটি—মনে থাকে ছোট ছোট হাসিমুখের স্মৃতি, কিন্তু আজ তার মুখে চিরতরে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। জানাজার মাঠে সকাল থেকে মানুষদের দীর্ঘ লাইন জমে গেছে। শহুরে নয়, গ্রামের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া শিশুরা—সবার চোখে জল। কারো কণ্ঠে শোকের আলিঙ্গন, ‘আল্লাহ, এমন মৃত্যু যেন কেউ না দেখে।’ সাজিদের ছোট্ট দেহটি যখন সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় কান্নার মধ্যে নিয়ে আসা হলো, চারপাশে ফিসফিস আওয়াজে কেঁদে উঠল সবাই। তার মা বারবার ছুটে আসতে চাইছিলেন, আহাজারি করছেন, কিন্তু সবাই ধরে রাখলেও কান্না থামাতে পারেননি কেউ। জানাজার নামাজের ইমামতি করেন কাজী মাওলানা মিজানুর রহমান। নামাজ শেষে তিনি তাকবির দিলে সকলের হাত উঠলো দোয়ার জন্য। হাজারো কণ্ঠে যেন আল্লাহর দরবারে মর্যাদার জন্য কেঁদে উঠল সবাই। সেই সাথে তার পরিবারের জন্য আল্লাহর ধৈর্য্য ও শক্তি দানের জন্য দোয়া করা হয়। জানাজার পর ছোট শিশুটির কফিনটি যখন কবরের দিকে নেওয়া হলো, তখন বাতাস যেন নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কেবল কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। স্বজনরা আবেগের handler তা দমাতে পারেননি। এমন দৃশ্য গ্রামবাসীর জীবনে সম্ভবত এই প্রথম—এক শিশুর জন্য এভাবে পুরো গ্রাম কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এর আগে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়ায় শিশুটি গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৪০ ফুট গভীরতা খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তাকে দ্রুত তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। SHARES সারাদেশ বিষয়: