ই-জিপি সিস্টেমে দরপত্রের সংখ্যা ছাড়ালো ১০ লাখ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এর ই-জিপি (ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রোকিউরমেন্ট) সিস্টেমের মাধ্যমে আহ্বানকৃত দরপত্রের সংখ্যা, দরদাতা এবং ক্রয়কারী সংস্থার নিবন্ধনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি দেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে আধুনিক ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দ্রুত ও সহজভাবে দরপত্র আহ্বান, নিবন্ধন ও সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে, যা আগে অপেক্ষাকৃত জটিল প্রক্রিয়া থেকে অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে। এছাড়া এর ব্যবহারকারীদের মধ্যে দরদাতা ও ক্রয়কারী সংস্থাগুলোর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, যা সরকারি ক্রয় ব্যবস্থায় ডিজিটালাইজেশনের ইতিবাচক প্রভাবের প্রমাণ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১১ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে আহ্বানকৃত দরপত্রের মোট সংখ্যা এখন ১০ লাখের বেশি। এর মূল্যবাঙালি অর্থে এডিয়ে ১০ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। এর আগে ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মোট দরপত্রের সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৭৭ হাজার, যার মোট মূল্য ছিল ৯ লাখ ২২ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে এক মাসের মধ্যে ২৩ হাজার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, যা একক মাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড। ই-জিপি চালুর পর থেকে এই মাসে আহ্বানকৃত দরপত্রের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

সংবাদ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই বিরাট বৃদ্ধি মূলত ২০২৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কার্যকর হওয়া পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ এর ফলাফল। নতুন এই বিধিমালায় সব সরকারি ক্রয়ে ই-জিপির ব্যবহারে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও প্রবৃদ্ধি করেছে। এখন প্রতিদিনই ঠিকঠাক ২০০ থেকে ৩০০টির বেশি নিবন্ধনের আবেদন এসে চলেছে, আগের মতো দিনে গড়ে মাত্র ৬০ থেকে ৭০টি।

তুলনামূলক তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতা প্রায় ১৪৩,৩৭৪ জনে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের নভেম্বরের ১২০,৭৭৭ জনের থেকে অনেক বেশি। এক অফিসার জানান, ২০১১ সালে সিস্টেম চালুর পর মাত্র এক বছরেই ২৩ হাজার দরদাতার নিবন্ধন আগের সব রেকর্ড ভাঙিয়ে দিয়েছে।

অন্যদিকে, নিবন্ধিত ক্রয়কারী সংস্থার সংখ্যা ২০২৪ সালের নভেম্বরের ১ হাজার ৪৭৪ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের নভেম্বরে ১ হাজার ৪৯৯ এ পৌঁছেছে। ক্রয়কারীর সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৬০২ থেকে ১৪,৩৭৪ এ।

বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) এস এম মঈন উদ্দীন আহমদ পিপিআর, ২০২৫ এর প্রণয়ন ও কার্যকরীকরণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ক্রয় সংস্কারের মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া আরো সুসংগঠিত ও স্বচ্ছতাসম্পন্ন হবে। সরকারি বহুগুণ অর্থ ব্যয় হয় যেখানে, সেখানে এই নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং কার্যকারিতা অনেক বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।