নরসিংদীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রির ঘোষণা দিল ডরিন পাওয়ার

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড এখন নরসিংদীতে অবস্থিত তাদের ২২ মেগাওয়াট শক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব স্থায়ী সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ হল, বাংলাদেশ রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন বোর্ডের (বিআরইবি) সঙ্গে এই কেন্দ্রের ১৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া এবং কোম্পানির চুক্তি নবায়নে আগ্রহ না থাকা। ফলে, কোম্পানি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে সম্পদ বিক্রির পথ বেছে নিয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এর আগে একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল ডরিন পাওয়ার। গত বছর, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) চুক্তি পুনঃনবায়ন না করায়, কোম্পানিটি টাঙ্গাইল ও ফেনীর ২২ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করে দেয়। এই ধারাবাহিকতায়, এবার নরসিংদীর কেন্দ্রটির কার্যক্রমও বন্ধ করে সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ডরিন পাওয়ারের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এই সময়ে, শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) বৃদ্ধি পেয়ে ১ টাকা ৮১ পয়সায় পৌঁছায়, যা আগের বছরে ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা। ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া হিসাব অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২৪ পয়সা।

বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোম্পানি ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বাদ দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। সেই বছর, কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি। এর আগে, ২০২৩-২৪ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যথাক্রমে ১০ ও ১১ শতাংশের নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন।

ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরআইএসএল) মূল্যায়ন অনুযায়ী, ডরিন পাওয়ারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান ‘এ প্লাস’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর, ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এই কোম্পানি। বর্তমানে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং রিজার্ভ রয়েছে ৬৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের প্রায় ৬৬.৬১ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে, ১৯.৪৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং বাকি ১৩.৯৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।