বিজিএমইএর সঙ্গে চার হাসপাতালের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৫

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) তার সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা আরও ব্যাপক করতে নতুন চারটি হাসপাতালে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ দপ্তরে এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এগুলো সম্পন্ন হয়। নতুনভাবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল পিএলসি, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল এবং ইয়র্ক হাসপাতাল লিমিটেডের সঙ্গে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম রহমান। হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন পরিচালক মো. আনিসুর রহমান (ঢাকা ইম্পেরিয়াল), এজিএম ও ডেপুটি হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট জিএম তারিকুল ইসলাম (ইবনে সিনা ট্রাস্ট), বোর্ড ডিরেক্টর ফুতোশি কনো (শিপ ইন্টারন্যাশনাল) এবং পরিচালক নজরুল ইসলাম (ইয়র্ক হসপিটাল লিমিটেড)। এর ফলে বিজিএমইএ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন থেকে এই চার হাসপাতালসহ মোট ১৪টি সুপরিসর স্বাস্থসেবা সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ ছাড়ে উন্নত চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই পদক্ষেপ দেশেই মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে এবং বিদেশে যেতে হওয়ার ভোগান্তি কমাবে বলে দাবি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম রহমান পোশাক শ্রমিকের কল্যাণে তার প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, পোশাক শ্রমিকদের জন্য আশুলিয়া অঞ্চলে একটি বৃহৎ হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভবিষ্যতে হসপিটালগুলোর সহযোগিতা আরও জোরদার হবে, যা দেশের পোশাক খাতে একটি স্থায়ী ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, প্রেস, পাবলিকেশন ও পাবলিসিটি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ কবির, মিরপুর হেলث কেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান খন্দকার মহিদুর রহমান শাহীনের পাশাপাশি টিবি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেঙ্গু কমিটির চেয়ারম্যান নুরুল তপন ও ইয়র্ক হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক নাসিম আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অভিব্যক্তিতে গর্বিত ও আনন্দিত বলেও উল্লেখ করা হয়।