নির্বাচনে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়াই বিএনপির লক্ষ্য: আমীর খসরু

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই বিএনপির মূল লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশে আবারো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। আন্দোলন-সংগ্রাম এখনো অব্যাহত রয়েছে, এবং নির্বাচনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত বিজয় অর্জন করতে হবে। তিনি দাবি করেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া দরকার। এটি দেশের মানুষের আশার প্রতিফলন। ইনশাআল্লাহ, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি সফলভাবে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বিভিন্ন সংকটের কার্যকর সমাধান সম্ভব শুধু জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দিতে পারে। তাই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন এখন জরুরি। জনগণের প্রধান চাহিদা হলো—একটি স্বাধীন, স্বাধীন এবং উৎসবমুখর ভোটের পরিবেশ প্রতিষ্ঠা।

তিনি উল্লেখ করেন, আসন্ন নির্বাচন বিএনপি ও দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে আমাদের সক্ষমতা নির্ভর করবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ দেশের রূপ দিতে এই নির্বাচন অপরিহার্য।

আমীর খসরু বলছেন, বিএনপি দেশে একটি নতুন ধরনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা মনে করে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার সুরক্ষিত করে দেশকে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সহনশীলতা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা অপরিহার্য। দ্বিমত থাকলেও সম্মান দেখানো উচিত। তিনি জানান যে, মানুষের মুক্তির সংগ্রাম স্বেচ্ছায় নয়, এটা রাজনৈতিক মুক্তি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক অধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সম্ভব।

সেই সঙ্গে, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে দেশের উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতে মানুষের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নেতৃত্বে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।