১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এনইআইআর বাস্তবায়নের দাবি মোবাইল শিল্পের

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৫

মোবাইল ফোন খাতে নিরাপত্তা ও বৈধতা নিশ্চিত করতে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) কার্যকরের দাবি উঠেছে। এ লক্ষ্যে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (মআইওবি) এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনটির মতে, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব অর্জিত হবে, দেশের বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এমআইওবির সভাপতি জাকারিয়া শহীদ তাঁর বক্তব্যে জানান, বর্তমানে দেশে ১৮টি মোবাইল সংযোজন ও উৎপাদন কারখানা রয়েছে, যেখানে মোট বিনিয়োগ ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই খাতে প্রায় ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শ্রমিক। কারখানাগুলো প্রতি মাসে প্রায় ১৫ লাখ স্মার্টফোন ও ২৫ লাখ ফিচার ফোন উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে অবৈধ বা গ্রে মার্কেটের কারণে সরকার বছরটিতে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে, যার আকার বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। এই অবস্থা রোধে এনইআইআর বাস্তবায়িত হলে অবৈধ বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে। মোবাইলশিল্পের নির্বাহী সদস্য ও স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “এনইআইআর চালু হলে ফোনের দামে বড় ধরনের বাড়তি ঝুঁকি তৈরী হবে—এমন প্রবণতা এখনো কিছু মহলের স্বার্থ রক্ষার জন্য ছড়ানো হচ্ছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এই ব্যবস্থা চালু হলে দেশে উচ্চমানের ফোন উৎপাদন বাড়বে, গ্রাহকরা কম দামে মানসম্পন্ন ফোন কিনতে পারবেন। অন্যদিকে, সিন্ডিকেট বা কর সংক্রান্ত অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে মাইওবি জানান, দেশের বাজারে প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং সেটি একচেটিয়া নয়। বিদেশ থেকে মোবাইল আমদানি বাবদ ৫৭ শতাংশ শুল্ক ২০১৯ সাল থেকে চালু রয়েছে এবং নতুন কোনো কর আরোপ করা হয়নি। এফাইওবির মতে, এনইআইআর পরিচালিত হলে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা বাড়বে, পাশাপাশি বৈধ রিফারবিশ বা পুরোনো ফোন বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না। ফলে, এই প্রযুক্তি দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষা বাঁধ হিসেবে কাজ করবে।