ই-জিপি সিস্টেমে দরপত্রের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৫

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এর ই-জিপি (ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রোকিউরমেন্ট) সিস্টেমের মাধ্যমে আহবানকৃত দরপত্রের সংখ্যা, দরদাতা এবং ক্রয়কারী সংস্থার নিবন্ধনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি দেশের সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকে আধুনিক, সহজ এবং আরও স্বচ্ছ করে তুলতে ২০১১ সালে চালু হয়। এটি একটি কেন্দ্রীভূত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজে দরপত্র জমা দিতে পারেন, দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন এবং নিরাপদে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেন। সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কারণে শুরু থেকেই এটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আগের তুলনায় এখন দরদাতা ও ক্রয়কারী সংস্থার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ডিজিটাল ক্রয় প্রক্রিয়ার সুবিধা গ্রহণ করে তারা এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১১ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে মোট দরপত্রের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এই সময়কালে এর মাধ্যমে মোট দরপত্রের মূল্য হাজার কোটি টাকার আরও বেশি হয়েছে, যা বর্তমানে ১০ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মোট দরপত্রের সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৭৭ হাজার, যার মূল্য ছিল প্রায় ৯ লাখ ২২ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের নভেম্বরে এক মাসের মধ্যে ই-জিপিতে নতুন করে ২৩ হাজার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, যা এর আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। এই বিশাল বৃদ্ধি মূলত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০২৫ এর কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে সব সরকারি ক্রয়ে এখন থেকে ই-জিপির ব্যবহার বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০টি নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন আসছে, যেখানে আগে গড়ে ৬০-৭০টি শুধু আসত। তুলনামূলক数据显示, ২০২৫ সালের নভেম্বরের মধ্যেই ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩,৩৭৪ জন, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ১২০,৭৭৭। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১১ সালে সিস্টেম চালুর পর এক বছরে ২৩ হাজার দরদাতার নিবন্ধনের বিপুল এই বৃদ্ধি আগে কখনো দেখা যায়নি। ক্রয়কারী সংস্থাদের সংখ্যা ২০২৪ সালে ছিল ১ হাজার ৪৭৪, আর এখন ২০২৫ সালের নভেম্বরে তা বেড়ে ১ হাজার ৪৯৯-এ দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, ক্রয়কারীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬০২ থেকে বেড়ে এখন ১৪ হাজার ৩৭৪। বিপিপিএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) এস এম মঈন উদ্দীন আহমেদ পিপিআর, ২০২৫-এর প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকে দেশের সরকারি ক্রয় সংস্কার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এই বিধিমালা সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকে আরও সুসংগঠিত করবে, transparenসি, দায়বদ্ধতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে। সরকারি ক্রয়ে প্রতি বছর প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যের অর্থ ব্যয় হয়, এবং পিপিআর ২০২৫ এর প্রয়োগে এই ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে।