ঐক্যবদ্ধ না হলে ভয়াবহ ক্ষতি অপেক্ষা করছে: তারেক রহমান

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২৫

নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব ও বিভেদ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সামনে কঠিন সময় আসছে, যদি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ না হন, তবে ভয়াবহ কিছু ঘটবে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

মনোনয়ন নিয়ে বিরোধের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি নয়, মূল বিষয় হলো দলের নির্দেশনা ও দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা। যদি এই বিভেদ রয়ে যায় এবং নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ না হন, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক নেতাকর্মী তাদের পছন্দের প্রার্থী পায়নি বা মনোনয়ন পেয়েছে, এটা স্বাভাবিক। তবে মুখ্য বিষয় হলো, তোমরা ধানের শীষের জন্য, দলের জন্য কাজ করো। প্রার্থী নির্বাচন কোনো মূল বিষয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের আদর্শ এবং দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা।

তারেক রহমান সতর্ক করে বলেন, সামনে অজস্র চ্যালেঞ্জ রুখতে হলে নেতাকর্মীদের একত্রে থাকতেই হবে। গণআন্দোলন যেমন জনগণকে বোঝানো ও পাশে আনা প্রয়োজন, তেমনি বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনাতেও জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। শুধুমাত্র জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলে এসব পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

এ время তিনি জামায়াতে ইসলামীর কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, বর্তমানে কিছু প্রচারণা চলছে যে, একজন বিশেষ ব্যক্তি ভালো, আর সবাই খারাপ — এ ধরণের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। গত ১৬ বছর ধরে একটি রাজনৈতিক দল এই বার্তা প্রচার করে এসেছে যে, তারা ভাল, অন্যরা খারাপ। এ অবস্থা এখনো চালু রয়েছে। তিনি বলেন, এই বিভ্রান্তিপূর্ণ প্রচারণা এখনো চলছে, যা পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি।

আন্তর্জাতিক ও দেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনও পরিবর্তন সম্ভব নয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অন্যান্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন হায়দার, ডা. মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।