ফরিদপুরে ‘কবর কবিতার শতবর্ষ’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ ফরিদপুরে সাহিত্যপ্রিয় মানুষের জন্য এক স্মরণীয় দিন হলো শনিবার। সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে পল্লী কবি জসীমউদদ্দীনের প্রখ্যাত ‘কবর কবিতা’র শতবর্ষ উপলক্ষে এক বিশাল প্রকাশনা ও উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই গ্রন্থের প্রকাশনা ও কবিতার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত মোরক উন্মোচন—সবই হয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। অতীতের এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে, কবি লেখক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ আলী খান সম্পাদিত ‘কবর কবিতার শতবর্ষ’ গ্রন্থের উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ। সাধারণতন্ত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, এবং সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ সামাদ, সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান, ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাকলী মুখোপাধ্যায়, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হালিম, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ওবায়দুর রহমান, এবং ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়ালসহ বিভিন্ন কবি ও সাহিত্যিকগণ। অতিথিদের বক্তব্যে গ্রন্থের সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আলী খান ব্যাখ্যা করেন যে, এর আগে ১৯২৫ সালে কলকাতার ‘কাল্লোল’ পত্রিকার পাতায় ‘পল্লী কবি’ জসীমউদদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয়। এর পরের তার ঐতিহাসিক পিন্ডের প্রভৃতি ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই কবিতা, যা বাংলার তরুণ-তরুণীদের হৃদয়ে গভীর স্থানে জায়গা করে নিয়েছে, সাহিত্যে তার একটি অবিচ্ছিন্ন স্থান। এই কবিতার সৌন্দর্য্য ও গভীরতায় বেদনার অশ্রুবিন্দু ঝরে পড়ে পাঠকদের হৃদয়ে। ২০২৫ সালে এই কবিতার শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে। শত বছর পার হলেও, ‘কবর’ কবিতা আজও পাঠকের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে, আবৃত্তিকার কণ্ঠে তার মহিমা বেড়ে যায়। একজন কবির কবিতা এক শতাব্দীর পরেও তার প্রভাব ও জনপ্রিয়তা বজায় রাখে এবং অন্তরের গভীরে স্থান করে নেয়, যা বারবার স্পর্শ করে পাঠকদের হৃদয়কে। SHARES সারাদেশ বিষয়: