সরকারের সীমিত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি ঘোষণা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ দেশের বাজারে পেঁয়াজের পরিচালনাকে স্বাভাবিক রাখতে সরকার ৭ ডিসেম্বর থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে প্রতিদিন ৫০টির বেশি আমদানি অনুমতি (আইপি) দেওয়া হবে। প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত যারা আমদানিকারক রপ্তানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তারাই আবার আবেদন করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক শুধুমাত্র একবারই আবেদন করতে পারবেন। এই অনুমতিপত্রের মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট এড়াতে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে যতদিন প্রয়োজন হবে। অপরদিকে, ঢাকার খুচরা বাজারে গত দুই দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরবরাহের ঘাটতিকে এর জন্য দায়ী করছেন। সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে বলে তারা উল্লেখ করেন। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট ও উত্তরার হজ ক্যাম্পসহ নানা বাজারে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি নজরে আসে। কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, ভালো মানের পুরোনো পেঁয়াজ এক পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি কেজির দাম এখন ১৬০ টাকা হলেও তারা ২২০ টাকায় বিক্রি করছেন। আবার কিছু দোকানে ১৪০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ মিলছে। অন্যদিকে, কিছু দোকানে আগাম পেঁয়াজ এসেছে যেখানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। বাজারে পেঁয়াজের বিক্রেতা নীরব মিয়া জানান, ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে, তখন দাম কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবারই এই মাসে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়, এবারে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম আরও বেশি। এছাড়া, মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট ও উত্তরার হজ ক্যাম্প বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। তবে বিক্রেতাদের মতে, তারা পাইকারি পর্যায়ে ১৪০ থেকে ১৪৮ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনছেন। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট কিছুটা প্রশমিত হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। SHARES অর্থনীতি বিষয়: