বাংলাদেশে পৌঁছাল ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের মানবিক উদ্যোগ ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য ৩,০০০ মেট্রিক টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য কক্সবাজারের উখিয়া জেলায় অবস্থিত মধুরছড়া লজিস্টিক হাবে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার, ইউক্রেন ও সুইডেনের দূতাবাস এবং জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সদস্যরা একত্রিত হন। ডব্লিউএফপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সূর্যমুখী তেল সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনে উৎপাদিত, এবং এর ক্রয়, পরিবহন এবং অন্যান্য খরচের জন্য সুইডেন সরকার মোট ৭০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। এই তেল রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্য সহায়তার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে, যা মানবিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফিজুর রহমান, রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া উইংয়ের পরিচালক এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস, ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ড. ওলেক্সান্দ্র পলিশচুক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সিমোন পার্চমেন্ট এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জঁ-মার্ক সেরে শারলে। উল্লেখ্য, ফ্রান্সও এই উদ্যোগের সহযোগী। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মোস্তফিজুর রহমান বলেন, সুইডেন ও ইউক্রেনের এই সহযোগিতা রোহিঙ্গাদের খাদ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে, যা মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ এবং বৈশ্বিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। রোহিঙ্গা ত্রাণ কমিশনার মিজানুর রহমান মন্তব্য করেন, এই যৌথ উদ্যোগ মানবিকতার উপর বাংলাদেশের বিশ্বাসের চিত্র তুলে ধরে, যা দেশ, ইউক্রেন, সুইডেন, ফ্রান্স ও ডব্লিউএফপিকে একত্রিত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহিউদ্দিন কায়েস বলেন, এই সহায়তা কেবল একটি মানবিক প্রচেষ্টা নয়, এটি রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তরিক বন্ধুত্ব এবং সংহতির প্রকাশ। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ড. পলিশচুক বলেন, সুইডেন ও অন্যান্য অংশীদারদের সমর্থন ছাড়া এই ধরনের উদ্যোগ সম্পন্ন হয় না। তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও ডব্লিউএফপি’র কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বিশ্বকে সচেতন করতে এই সহায়তা এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেখায় আন্তর্জাতিক সংহতি কেবল কথা নয়, কাজেও রূপ নিতে পারে। ডব্লিউএফপির সিমোন পার্চমেন্ট বলেন, ইউক্রেন ও সুইডেনের এই সাহায্য বৈশ্বিক একতার এক উদাহরণ, এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিরা ডব্লিউএফপির খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গারা ই-ভাউচার ব্যবস্থার মাধ্যমে মাসে ১২ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ খাদ্য পেয়ে থাকেন। ১৯টি ই-ভাউচার আউটলেট থেকে তারা চাল, ডাল, তাজা শাকসবজি, মাছ, মুরগি এবং স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী নিতে পারেন। এই ব্যবস্থায় স্থানীয় ক্ষুদ্র কৃষক ও উৎপাদকরাও সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন। SHARES অর্থনীতি বিষয়: