পুতিন-মোদির বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবেঃ আলোচনার মূল বিষয়বস্তু Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আসছে ভারত। তিনি দু’দিনের সফরে আজ নয়া দিল্লিতে পা রাখলেন। এটি ছিল তাঁর ২০২১ সালে শেষ ভারতের সফর। এই বছরই ভারতের সাথে রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্তি ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই সফরই দুই দেশের ২৩তম দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। অনির্দিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, এই সফরের শুরুতেই বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দুই নেতার ব্যক্তিগত নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে। এই সময় তারা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। উল্লেখ্য, গত বছর মোদির মস্কো সফরের সময় পুতিন তাকে ব্যক্তিগত ডিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় এই কর্মসূচি রচিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুতিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাগত জানানো হবে, যেখানে ত্রিপাক্ষিক গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এরপর তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তার পরে শুরু হবে ২৩তম ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন হায়দরাবাদ হাউসে। যদিও এই বৈঠকে কোনো বড় ধরনের চুক্তি বা ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে সেখানে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলাপ আলোচনায় উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি সূত্র বলছে, ভারতীয় কর্মীদের রাশিয়ায় কাজের সুযোগ বাড়াতে বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে লজিস্টিক সাপোর্ট চুক্তি ও চলমান সামরিক সরবরাহের বিষয়গুলিও আলোচনা হবে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ওষুধ, কৃষিভিত্তিক পণ্য, খাদ্য ও ভোক্তা সামগ্রী রপ্তানি বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা চলবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। আসন্ন ব্রহ্মোস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ এবং এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাকি ইউনিটের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। শুক্রবার মধ্যাহ্নভোজের পরে, পুতিন ইন্ডিয়া-রাশিয়া বিজনেস ফোরামের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করার উপর আলোচনা হবে। এই অংশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের সাথে রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে, ভারতের রুশ থেকে বার্ষিক আমদানি প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার, जबकि রাশিয়া থেকে ভারতের আমদানী মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সারখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চলবে, যাতে রাশিয়া ভারতের জন্য বছরে ৩-৪ মিলিয়ন টন সার সরবরাহ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি রমুমু এক বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করবেন পুতিনের সম্মানে। পাশাপাশি, তিনি ভারতে রুশ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা ‘নতুন ভারত’ চ্যানেল উদ্বোধন করবেন। পুরো সফর প্রায় ২৮ ঘণ্টার পুর্নাঙ্গ সময়জুড়ে চলবে। শেষ পর্যায়ে রাত ৯টায় দেশের সফর সমাপ্তি হবে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: