বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে নতুন সংশয়

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু থেকেই পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করে আসছেন। শেহের আফ্রিদি, শোয়েব মালিক থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে সাইম আয়ুব ও আবরার আহমেদও এই আসরে খেলেছেন। আর upcoming মৌসুমের নিলামেও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে।

তবে পুরো মৌসুমের সময় তারা কি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, সে বিষয়ে এখন সৃষ্টি হয়েছে নানা অনিশ্চয়তা। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান দলের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির কারণে বেশিরভাগ পাকিস্তানি ক্রিকেটারই এই মৌসুমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ফলে দলগুলো আগেভাগেই বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাংলাদেশের বিপিএল আগামী ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে শুরু হয়ে আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা। এ সময়ে পাকিস্তান দলের দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একজন কর্মকর্তার মতে, ‘জানুয়ারির মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে, আর জানুয়ারির শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ম্যাচ রয়েছে। তাই পুরো মৌসুমে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া সম্ভব নয়, আপাতত এটাই বোঝা যাচ্ছে’।

পাকিস্তান দল ৭, ৯, ও ১১ জানুয়ারি ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এই সিরিজটি অংশ হিসেবে তারা শ্রীলঙ্কায় ক্যাম্পও করবে। এরপর জানুয়ারির শেষদিকে তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেকটি তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে।

এরপরই পাকিস্তান দল আবার শ্রীলঙ্কায় যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে। এই বিশ্বকাপ চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ৮ মার্চ পর্যন্ত, যা শ্রীলঙ্কা ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা যেমন সাইম আয়ুব, মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, উসমান খান, ইমাদ ওয়াশিম, খুশদিল শাহসহ অনেক খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে তাদের বেশিরভাগেরই জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে পুরো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ সম্ভব কি না, তা সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।

পিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা এনওসি দিচ্ছি না—এমনটা সত্য নয়। যারা আবেদন করছে, আমরা তাদের যাচাই করে দেখছি। জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকলে সেটাই অগ্রাধিকার পাবে। বিশ্বজুড়ে এ নিয়মই অনুসরণ করা হয়’।

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ধারণা, শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে বা সিরিজের সময়ের বিরতিতে কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিপিএলে অংশ নিতে পারে। আর যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পরিকল্পনায় রয়েছে না, তারা হয়তো আরও বেশি ম্যাচের সুযোগ পাবেন।