হিমেল হাওয়ায় মেহেরপুর ও নওগাঁয় তাপমাত্রা কমে শীতের তাণ্ডব বেড়েছে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ নওগাঁ ও মেহেরপুর জেলায় শীতের প্রভাব এখন দারুণভাবে অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকায় সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন কঠিন কষ্টে পড়ছেন। তীব্র শীতে বিশেষ করে সকালের ঠাণ্ডা আর কুয়াশার সঙ্গে ঝিলমিল রোদ হলেও শীতের প্রভাব কমছে না। গত কয়েকদিনের তাপমাত্রা রেকর্ডে দেখা গেছে, নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে, যা এই বছরের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। রাতের বেলায় হালকা কুয়াশা ঢেকে থাকছে এলাকা, যা দিনের সূর্যের উজ্জ্বলতা থাকলেও শীতের জ্বলজ্বলে প্রভাব থেকে রেহাই জোটছে না। এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে ভ্যানচালক, রিকশাচালক, শ্রমিক ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকতে বাধ্য হচ্ছেন। শিশুরা ও বয়স্করা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং হাসপাতালগুলোতে হাঁপানি, জ্বর, সর্দি-কাশি এবং বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। পক্ষক্রমে স্থানীয় প্রশাসন শীতার্তদের জন্য কম্বল ও ত্রাণ বিতরণ করছে। মেহেরপুরেও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে, যেখানে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১২.২ ডিগ্রি. সেলসিয়াসে নেমে গেছে। শীতে জমে উঠেছে জনজীবন। সকাল থেকেই মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছে এবং স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও শীতের কাপড়ে মোড়াগ্রস্ত। বিশেষ করে দরিদ্র ও শ্রমিক পরিবারের লোকজন চিন্তিত। হাসপাতালগুলোতেও শীতজনিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে। জেলা প্রশাসন শীতার্তদের জন্য কম্বল বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ দৃঢ় হয়ে উঠছে। নদী চরাঞ্চলে শিশুসহ সব বয়সীর জন্য কষ্টকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভোরে ও সন্ধ্যার দিকে বাতাসের তীব্রতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে, ফলে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাজে যেতে পারছেন না বা তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সমস্যায় পড়েছেন। বাজারে কেনাকাটা কমে গেছে এবং স্কুল-কলেজের উপস্থিতিও অনেক কম। এসব পরিস্থিতি আগামী দিনগুলোতে আরও কঠিন হয়ে উঠার আভাস দিচ্ছে। SHARES সারাদেশ বিষয়: