স্মার্টফোন আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যেন বৈধভাবে মোবাইল ফোনের আমদানি হার কমে যায়। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যুবের প্রতিনিধিত্বে সচিবালয়ে ১ ডিসেম্বর এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এ বিষয়ে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকাকালীন ৬০ দিন পর্যন্ত মোবাইল রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন, जबकि এর বেশি সময় থাকলে মোবাইল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামুলক। পাশাপাশি, যেসব প্রবাসীর বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড আছে, তারা বিনামূল্যে তিনটি ফোন নিয়ে আসতে পারবেন। অর্থাৎ, এই কার্ডধারীরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইলের সঙ্গে আরও দুইটি নতুন ফোন চাইলেই বিনা ট্যাক্সে আনতে পারবেন, তবে চতুর্থ ফোনের জন্য ট্যাক্স দিতে হবে। যেসব প্রবাসীর বিএমইটি কার্ড নেই, তারা তাদের ব্যবহৃত ফোনের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত মোবাইল বিনামূল্যে আনতে পারবেন। এর জন্য মোবাইলের কেনাকাটার বৈধ কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে, কারণ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর ও সীমান্তে চোরাচালান ও ফটোফ্রফচালান রোধে এ ব্যবস্থা জরুরি। এর পাশাপাশি, বৈধ মোবাইল আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৬১ শতাংশ শুল্ক থাকলেও, এতে মূল্য কমে আসবে এবং বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইলের দাম ক্রমশ হ্রাস পাবে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি মোবাইল উৎপাদনকারী কারখানার শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর পরিকল্পনাও দেখা যাচ্ছে, অন্যথায় বিদেশি বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। এই সকল সিদ্ধান্তের জন্য বিটিআরসি ও এনবিআর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জোড়া আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া, সব ডেটা ও রেজিস্ট্রেশন নিরাপদে রাখতে হবে, যেন কেউ অবৈধ বা ক্লোন মোবাইল ব্যবহার না করে। দেশের বাজারে অবৈধ ও চোরাচালান মোবাইলের প্রবেশ রোধ করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সক্রিয় করা হচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে, অবৈধ মোবাইলের মধ্যে বৈধ আইএমইআই নম্বর সম্পন্ন স্টকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তালিকা বিটিআরসিতে জমা দেওয়া হবে এবং সেই মোবাইলগুলোকে সরকারি সেটে রেজিস্ট্রেশন করে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে, ক্লোন বা রিফারবিসড মোবাইলের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হবে না। এ সময়ে স্থানীয় ও বিদেশী পুরোনো মোবাইলের ডাম্পিং বন্ধ করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে অবৈধ ইলেকট্রনিক বর্জ্য প্রবেশের রাহ মকবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর থেকেই অবৈধ মোবাইল চিহ্নিত ও সনাক্তকরণ চলবে। ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের ফ্লাইটগুলো বিশেষ করে নজরদারিতে থাকবে এবং চোরাচালান বন্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। ওই সময়ের জন্য মোবাইল সিমের ইকেওয়াইসি ও আইএমইআই রেজিস্ট্রেশন ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে, যেন কোন উপাত্ত লঙ্ঘন না হয় এবং রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কোনও অপরাধের শামিল হওয়া এড়ানো যায়। SHARES অর্থনীতি বিষয়: