পোপ লিওর হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ছাড়ার জন্য সংলাপের পরামর্শ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ লেবানন সফরের সময় পোপ লিও বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছেন, হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ত্যাগ করে জাতীয় সংলাপে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, ভ্যাটিকান সব পক্ষকে সহিংসতা বন্ধ করে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার জন্য আহ্বান করছে। চার্চ এতদূর পর্যন্ত হিজবুল্লাহর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। সফরকালীন শেষ দিন গত মঙ্গলবার স্কাই নিউজ আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোপ বলেছেন, বৈরুতের তার রাজনৈতিক সাক্ষাৎকারগুলো সরাসরি মিডিয়ার বাইরে নেওয়া হয়েছিল এবং সেটির মূল লক্ষ্য ছিল দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বিরোধ কমানোর দিকে মনোযোগী হওয়া। তিনি যখন হিজবুল্লাহর পাঠানো চিঠি নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তখন পোপ জানান, তিনি ওই চিঠি পর্যালোচনা করেছেন কিন্তু এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না। উল্লেখ্য, গত শনিবার হিজবুল্লাহ পোপ লিওকে এক চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে তারা ইসরাইলের অব্যাহত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সহাবস্থানের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। চিঠিতে তারা উল্লেখ করে, লেবাননের বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাই মূল নীতি। একই সঙ্গে তারা দেশের সেনাবাহিনী ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সব ধরনের আগ্রাসন ও দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে। চিঠিতে আরও বলা হয়, ইসরাইলের আচরণ অগ্রহণযোগ্য এবং তারা আশা করেন, পোপ লিও লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে ঘটে চলা অবিচার ও হামলার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার কেবল বলবেন না বরং কার্যকরিও হবেন। পোপের সফরকে স্বাগত জানিয়ে হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পোপের কাছে হস্তান্তর করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং এটি সব পত্রে প্রকাশ পাবে। তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলা হয়েছে, তবে ইসরাইল লেবাননের ভেতরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যা আন্তর্জাতিক চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। শেখ কাসেম আশা প্রকাশ করেন, পোপের উপস্থিতি এই সময়ে লেবাননে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পোপ লেবাননকে আগ্রাসন থেকে রক্ষা করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবেন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলকে লেবাননের সব এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হলেও, এখনও পাঁচটি স্থানে তাদের অবস্থান রয়েছে, যা জাতিসংঘের চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এরপর থেকে ইসরাইল বারবার লেবাননের ভেতরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: