ঢাকায় অগ্নিসন্ত্রাস, ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা, যারা টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে গোপন মিটিং ও পরিকল্পনা চালিয়ে আসছিল। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ, ব্যাংক ও প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তারা চক্রান্ত করছে বলে পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে। এরই অংশ হিসেবে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকার রমনা বিভাগের পুলিশ বুধবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান ও অন্যান্য এলাকায় বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, ধানমন্ডি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান বাবু, বিভিন্ন জেলার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, আবার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলন খান ও সাব্বির শেখ। এর মধ্যে শওকত ওসমান বাবু দীর্ঘ দিন ধরে দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন এলাকাবাসীর ওপর, ২০২৪ সালের আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন। সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে ফিরে এসে নতুন করে নাশকতার পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি। তার মোবাইল থেকে নাশকতার নির্দেশনা ও বিস্ফোরণের ছবি, বাসে অগ্নিসংযোগের ভিডিও ও ককটেল তৈরির তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। জনস্বার্থে, তার নির্দেশে বেগুনি বাঁধ এলাকায় ১৬ নভেম্বর বাসে আগুন দেওয়া হয়। অন্য গ্রেপ্তার হওয়া মিলন খান রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মী এনে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রাখতেন, তিনি বিভিন্ন দলীয় নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে নাশকতা চালিয়ে আসছিলেন। সাব্বির শেখ, ঢাকা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, কুখ্যাত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং বিভিন্ন গ্রুপে কর্মীদের দিয়ে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের নির্দেশনা দিতেন। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে, যেমন ধানমন্ডি, রূপনগর, হাজারীবাগে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। পুলিশ তাদের মোবাইল ও ডিজিটাল ডেটা বিশ্লেষণ করে নাশকতার পরিকল্পনা, অর্থ লেনদেন ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে, যা তাদের বিচারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই নাশকতাগুলোর মাধ্যমে তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাচ্ছে এবং সরকারের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।