একনেকে ১৬ হাজার ৩۲ কোটি টাকার ১৮ প্রকল্প অনুমোদন

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৫

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা পর্ষদ (একনেক) সোমবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মোট ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার দানযোগ্য অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা, ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন যোগ হয়েছে ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকায়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুমোদিত ১৮ প্রকল্পের মধ্যে ১৩টি নতুন প্রকল্প এবং ৫টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সমাজকল্যাণ ও নারী-শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও বন- পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রধানত কৃষি ও বিদ্যুৎ বিভাগ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয়। কৃষি ক্ষেত্রে দুটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত সংস্করণ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতায় তিনটি প্রকল্প রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো সোনাগাজীতে ২২০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং অনুসন্ধান কূপ খনন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় চারটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যেখানে রয়েছে মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২০২৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত বা কর্মক্ষমতা হারানো যোদ্ধা পরিবারের জন্য ১,৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, শহীদ পরিবারের জন্য ‘৩৬ জুলাই’ আবাসিক প্রকল্প, অগ্নিনিরাপত্তা আধুনিকীকরণ এবং নতুন ২১ তলার অফিস ভবন নির্মাণ। সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এমআরটি লাইন-৬ এর তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ (চান্দাইকোনা) সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের নীতির আওতায় নারায়ণগঞ্জের গ্রিন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট শহর উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ ও আর্থিকমন্ত্রণালয় দ্বারা আরও দুটি প্রকল্প অনুমোদিত, যার মধ্যে রয়েছে অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্রের দ্বিতীয় সংশোধন ও জাপান হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ। প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল উদ্যোগ ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেমের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম সংশোধনসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অগ্রগতি ও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আগের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়নও অবহিত করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র আধুনিকায়ন, জেলা স্তরের স্টেডিয়াম উন্নয়ণ, অটিজম অ্যাকাডেমি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, পল্লী অবকাঠামো সংস্কার, পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজায়ন, নদী ও খাল পুনরখনন ও দিনাজপুর পৌরসভার উন্নয়ন কর্মসূচি। এসব প্রকল্প দেশের অবকাঠামো উন্নয়নকে উন্নত করেছে এবং সামগ্রিক উন্নয়নের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।