নিউজিল্যান্ডে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নতুন অধ্যায় Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৫ বিশ্ব ক্রিকেটে বিগত অনেক বছর ধরেই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বমুখী। ঝলমলে পরিবেশ, বিদেশি ও দেশীয় ক্রিকেটাররা একত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, বিদেশি বিনিয়োগ আসছে, আর দর্শকদের আগ্রহ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আইপিএলের মত সফল লিগের পথ অনুসরণ করে এখন অধিকাংশ দেশই নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ তৈরি করছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে খেলছেন। তবে এত দিন নিউজিল্যান্ড এই তালিকায় ছিলনা। এখন সেটিও বদলাচ্ছে। কিউই ক্রিকেট বোর্ড এখন নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পরিকল্পনা করছে, যা ২০২৭ সাল থেকে শুরু হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এই লিগের মডেল হবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মতো, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি লিগ আর জনপ্রিয় হবে। বর্তমানে নিউ জিল্যান্ডে একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা হলো সুপার স্ম্যাশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক তারকা না থাকার কারণে এবং দর্শক আকর্ষণে প্রাধান্য না পাওয়ার কারণে এই লিগটির গুরুত্ব কমতে থাকছে। এজন্য নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন এনজেড-২০ প্রকল্পের প্রধান ডন ম্যাককিনন। তিনি বলছেন, এখন সময় এসেছে সুপার স্ম্যাশের বাইরে ভাবার এবং নতুন সুযোগের সন্ধানে ওঠার। ক্রিকেটভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট ESPN Cricinfo-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাককিনন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সফল হতে হলে নিউজিল্যান্ডকে নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ তৈরি করতে হবে। এই লিগটি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মতো মডেলে পরিচালিত হবে। টুর্নামেন্টের লাইসেন্স থাকবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (NZC) কাছে, তবে লিগ পরিচালনা করা হবে স্বতন্ত্রভাবে। এখনো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এই পরিকল্পনায় সবুজ সংকেত দেয়নি, তবে অনুমোদন পাওয়া গেলে এই নতুন লিগটি সুপার স্ম্যাশের মতো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করেন ম্যাককিনন। ২০১৪ সালে এই ধরনের প্রস্তাব বোর্ড ফিরিয়ে দিয়েছিল, কারণ তখন আইপিএল বা বিগব্যাশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা কঠিন বলে মনে হত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। ম্যাককিননের বিশ্বাস, এখনই উপযুক্ত সময়, নিজস্ব টি-টোয়েন্টি ব্র্যান্ড তৈরি করার সুযোগ এসেছে। কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্টিফেন ফ্লেমিংসহ অন্যান্যদেরও বেসরকারি মালিকানাধীন লিগের পক্ষে মত রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের জানুয়ারীতে এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। প্রকল্পের এজেন্সির সাথে গত দুই-তিন মাস ধরে আলোচনা চলমান। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সময়সূচি নির্ধারণ, যাতে বিগব্যাশ (বিবিএল), আইপিএল, এসএ২০ বা আইএলটি২০ এর সঙ্গে সংঘাত না ঘটে। কারণ এই সব লিগে অনেক নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটার নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। SHARES খেলাধুলা বিষয়: