ফেনীতে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

ফেনীতে সম্প্রতি পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়, যেখানে আসামি গ্রেপ্তার, প্রসেস জারি, তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও চার্জশিট দাখিলের প্রক্রিয়া, ফৌজদারী কার্যবিধি এবং মামলার বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত শনিবার বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, সহকারী পরিচালক, বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, ফেনী জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাসহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, সিআইডি, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ও অন্যান্য তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. আবু জাহের বাদল, যিনি কনফারেন্সের সঞ্চালনা করেন।

কনফারেন্সে মূলত বলা হয়, আদালত চত্বর ও সরকারি অফিসের নিরাপত্তা জোরদার করা কতটা জরুরি, এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, আসামি গ্রেপ্তার, প্রসেস জারী, তদন্ত প্রতিবেদন, মেডিকেল সার্টিফিকেট, চার্জশিট, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন কেমনভাবে পারদর্শীতার সঙ্গে সম্পন্ন করবেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য দিকেও গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এতে মামলার স্বচ্ছতা ও দ্রুততার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মামলার তদন্ত বেশিরভাগ কাজ করেন তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষ্যগ্রহণ, আলামত সংগ্রহ, বিভিন্ন রিপোর্ট ও টেস্টের মাধ্যমে তদন্ত সম্পন্ন হয়। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির জন্য মেডিকেল সনদ ও পোস্টমর্টেম রিপোর্টের timely সরবরাহের ওপর জোর দেন বক্তারা।

তিনি আরও বলেন, মামলার সাক্ষী উপস্থাপন, দ্রুত তদন্তমূলক কার্যক্রম এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে, মামলার মূল উপাদান ও সব ধরনের রিপোর্ট সময়মতো সংগ্রহ ও পেশ করার নির্দেশনা দেন। সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, দ্রুত বিচার কার্যক্রম আরও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিচারকদেরকে তৎপরতা বাড়াতে হবে।