দুদকের উদ্যোগে শেখ হাসিনার পরিবারের ৮৩২.৫ ভরি স্বর্ণ জব্দ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২৫ অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের দুটি লকার থেকে মোট ৮৩২.৫ ভরি বা প্রায় নয় কেজি সাতশো ষোল গ্রাম স্বর্ণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই স্বর্ণ উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয় গত মঙ্গলবার একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকের বুলিয়ন শাখার স্বর্ণ বিশেষজ্ঞ, এনবিআর এর কর গোয়েন্দা ও সিআইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে লকার খোলার মাধ্যমে। শেখ হাসিনার সম্পদ বিবরণীতে ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি পূবালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের মোট তিনটি লকারের বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। এর একাংশ হিসেবে ১৪ সেপ্টেম্বর দুদকের আদালত থেকে লকার খোলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। এরপর আদালতের নির্দেশে প্রথমে পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা ও পরে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় ওই লকারগুলো খোলা হয়। উদ্ধারকৃত লকারগুলো হলো: পূবালী ব্যাংকের নং-১২৮ এর লকার, যেখানে ছোট একটি পাটের ব্যাগ পাওয়া যায়; অগ্রণী ব্যাংকের নং-৭৫১/বড়/১৯৬ এর লকার, যার মধ্যে উপস্থিত মোট ৪ হাজার ৯২৩.৬০ গ্রাম স্বর্ণালংকার; এবং অগ্রণী ব্যাংকের নং-৭৫৩/বড়/২০০ এর লকার, যেখানে থাকেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সিদ্দিকের নামের স্বর্ণালংকার, যার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৮৩.৫৬ গ্রাম। এসব মালামাল ইনভেন্টরি প্রস্তুত করে শাখার ব্যবস্থাপকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সংক্রান্ত লকারগুলোতে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা সিদ্দিক, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সজীব ওয়াজেদ জয় ও ববি ওয়াজেদের স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য সম্পদ থাকতে পারে। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে যে, গত ১০ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের পূবালী ব্যাংক সেনা কল্যাণ ভবনের শাখায় শেখ হাসিনার একটি লকারও জব্দ করা হয়। অপরদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর ১৭ নভেম্বরের রায়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের সময় তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে, তাদের সম্পত্তি ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করতে গত বছর ৫ আগস্ট ব্যাংকে থাকা সম্পদগুলি জব্দ করে সিআইসি। এখন এই সম্পত্তিগুলোর মধ্যে থাকা স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার ও নিরাপদে সংরক্ষণ করতে আইন flotation পরিচালনা করছে দপ্তর। সরবরাহকৃত তথ্য অনুযায়ী, সরাসরি তদন্ত ও আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনা পরিবারের অর্থসম্পদ ও স্বর্ণের উৎস পর্যালোচনার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। SHARES জাতীয় বিষয়: