ইসরাইলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৭ হুথির মৃত্যুদণ্ড

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২৫

ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ আদালত ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে। এই রায় পাল্লা দিয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে বা প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ জারি করা হয়েছে। ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত সরকারী আদালত শনিবার সকালে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তারা ‘আমেরিকা, ইসরাইল এবং সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগসূত্র রেখে গুপ্তচরবৃত্তি’ চালিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে হুথি বিচারকরা মত প্রকাশ করেছেন এবং ইয়েমেনের কৌঁসুলিরাও এই মামলায় জোরালোভাবে যোগ দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম সাবা ও অন্যান্য সূত্র জানিয়েছে, আদালত এই ১৭ জনের বিরুদ্ধে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যাতে অন্যরা সতর্ক হয় এবং এ ধরনের অপরাধ পুনরায় না ঘটে। এই তালিকায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। একই মামলায় একজন নারী ও একজন পুরুষকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি আরেকজন বিভিন্ন অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন। মোট ২০ জন এই মামলায় বিচারাধীন ছিলেন।

হুথি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ইয়েমেনবিরোধী বিদেশি শক্তিদের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনেন কৌঁসুলিরা। তাদের মধ্যে ব্রিটেনের tênও উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে যে, ইয়েমেনের নাগরিকদের সঙ্গে ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের যোগাযোগ ছিল এবং এর মাধ্যমে বেশ কিছু সামরিক ও নিরাপত্তা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। এই ন্যাটি হামলায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটে এবং ব্যাপক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলের হামলার পর হুথি সেনারা লোহিত সাগরের নৌপথ ও ইসরাইলের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইয়েমেনে পাল্টা হামলা চালায়। তবে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরে হুথিরা হামলা বন্ধ করেছে।