রাখাইনে জান্তা–আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ, ২০টি গ্রাম জনশূন্য

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২৫

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের কিয়াউকফিউতে চলমান সংঘর্ষের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু হলো মিন পিয়িন গ্রাম, যেখানে জান্তা সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। জান্তা বাহিনী পরিকল্পিত হামলা এবং কৌশলগত ফাঁদে পড়ে গুরুতর হতাহত হয়েছে। এর প্রভাব একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় মানুষের জীবন, অন্যদিকে প্রায় ২০টি গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে নতুন করে পালিয়ে গেছে দেড় থেকে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিজ গ্রাম ছেড়ে আশ্রয়হীনভাবে জীবন কাটাচ্ছে।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে বিদ্রোহীদের দখল করা বেশ কিছু অঞ্চল, যেখানে তারা জান্তার সরকারের দখলদারিত্বের বিরোধিতা করে চলেছে। বিশেষ করে রাখাইনের কিয়াউকফিউ এবং এর আশপাশের অঞ্চলে সংঘর্ষ বেশ জোরালো হয়ে উঠেছে।

সাম্প্রতিক ঘটনা অনুযায়ী, মিন পিয়িন থানার সামনে অবস্থান নেয়া জান্তা সেনাদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় আরাকান আর্মি। এই হামলায় অন্তত ১০ জান্তা সেনা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এর পরই জান্তা বাহিনী ১৮ নভেম্বর বিভিন্ন এলাকার দিকে বোমা নিক্ষেপ ও আক্রমণ চালায়, যার ফলে হাজারো মানুষ পলায়ন করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।

অন্যদিকে, জান্তা সেনারা কিয়াউকফিউয়ের গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি শিবির দখল করে নিয়েছে এবং কাছাকাছি অন্য শিবিরগুলোতে আঘাত হানতে শুরু করেছে। নারায়ণপুর ও রাখাইন-মেইনল্যান্ড সীমান্তের উপর তলোয়ার ধরা এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রেখেছেন আরাকান আর্মি। তারা জান্তার দখলে থাকা এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে, চীন-সমর্থিত এই শহরে নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে আরও তীব্র হয়েছে সহিংসতা। স্কুল ও গ্রামগুলোর ওপর হামলা চালাচ্ছে নৌবাহিনী। এর ফলে প্রায় ২০টি গ্রাম জনশূন্য হয়ে গেছে এবং মাঝেমধ্যে নতুন করে দশ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পলায়ন করছে। এই পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপের প্রত্যাশা করছেন।