রাসুলের (সা.) শিক্ষাদান পদ্ধতি কল্যাণে ভরপুর

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২৫

জনপ্রিয় ইসলামী স্কলার, চিন্তক ও বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে কল্যাণকামিতায় ভরপুর ছিল। তাঁর শিক্ষাদান ছিল উৎসাহ দেন এবং আশাব্যঞ্জক। তিনি শিক্ষা দিতে সুন্দর ও উপদেশমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। অংশগ্রহণমূলক ও প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক শিক্ষাদানকে তিনি অগ্রাধিকার দিতেন। তিনি শুনতেন এবং শোনাতেও দিতেন। ড. মিজানুর রহমান আজহারী আরও বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) সভ্যতা, মানবতা ও জীবনবোধের শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক, যার মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান অর্জন করত। জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব তিনি অনেক উঁচু বলে মনে করতেন এবং বিশ্বব্যাপী জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। নবী (সা.) জ্ঞান অর্জনকে বাধ্যতামূলক করে বলেছিলেন, ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য জ্ঞান অর্জন অত্যাবশ্যক। তিনি মনে করতেন, না জেনে জীবন চালানো পাপকর্ম।

মঙ্গলবার, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) আয়োজিত ‘রাসুল (সা.) এর শিক্ষাদান পদ্ধতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে ড. মিজানুর রহমান আজহারী প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আ ন ম শামসুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

উপস্থিত অতিথিদের ফুল এবং ক্রেস্ট দিয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ এবং অতিরিক্ত পরিচালক চৌধুরী গোলাম মাওলা। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্পণ শিল্পীগোষ্ঠী মনোমুগ্ধকর ইসলামি সংগীত পরিবেশন করে।

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় উম্মাহর সম্পদ। এই প্রতিষ্ঠানকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুনিয়ার সফলতা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়। প্রকৃত সফলতা হল আখেরাতের উদ্দেশ্যে জীবন গঠন করা, নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ অর্জন। এই বিশ্ববিদ্যালয় সেই আদর্শে শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন করতে চায়।