বিএনপি পরিষ্কারভাবে জানালো, স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করবে: মির্জা ফখরুল Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২৫ বিএনপি স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র গণমাধ্যমের গুরুত্ব অনুধাবন করে সেটি নির্মাণের জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই মন্তব্য তিনি সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)-এর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অঙ্গীকার খুব স্পষ্ট—আমরা চাই একটি স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম, যারা সরকারের অধীনে নয়, বরং স্বচ্ছতাসহকারে কাজ করবে। তিনি আরও জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যম সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের প্রতিবেদনকে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে দেখবে সরকার। আগে বিদ্যমান ওই কমিশন তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সে বিষয়ক আলোচনাও হয়নি। তিনি আশ্বাস দেন, সরকার গঠনের পর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখবে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, “সংস্কার যদি হৃদয়ে না ধারণ করা হয়, মানসিকতায় না আনা হয়, তাহলে সাময়িক পরিবর্তন সম্ভব নয়। সত্যিকার সংস্কার তখনই হবে যখন আমরা চাইবো, মনের গভীরে এই পরিবর্তন আসুক।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কিছুটা স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছিলেন। এরপর থেকে বিএনপি যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়, তখন সংবাদপত্র উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, দেশের সাংবাদিকদের একটি বড় অংশ রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হয়ে গিয়ে নিজেদের পক্ষপাতিত্ব করে থাকেন, যা ক্ষতিকর। বিশেষ করে, কিছু সাংবাদিক অনেক সময় রাজনৈতিক অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়ে যান, যা স্বাধীনতার জন্য হুমকি হতে পারে। বাইরের কিছু শক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে সতর্ক করে তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদেরও অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতা রয়েছে—তাদের যেন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন সংবাদ প্রকাশে অবদান রাখতে হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক ও সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, সাবেক সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, গণমাধ্যম কমিশনের সুপারিশ ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা বেশ স্পষ্ট। বিজেসি এমন সংশয় প্রকাশ করে বলেছে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরবে, দ্রুত কার্যকর করার অঙ্গীকার করবে। এতে যোগ দেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরাও। সংক্ষেপে, এই সভা একদিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, অন্যদিকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সমাধানের দিকগুলো আলোচনা করে। SHARES রাজনীতি বিষয়: