লামায় বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য আগে সাঁতার শেখানো হয়

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

শুষ্ক মৌসুমে কখনো গলা, কখনো কোমর বা হাঁটুপানি হয়ে থাকা বমুখালে পানির প্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে যখন খাল ভরে যায় বৃষ্টির জলে, তখন এই বিপদ আরও বেড়ে যায়। ফলে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা লামার স্কুলগামী শিশুদের জন্য این পরিস্থিতি এক দুর্ভোগের ঘটনা। স্থানীয় শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এ অবস্থা বহু বছর ধরে চলে আসছে। বলছেন, এই পরিস্থিতি শিক্ষায় বিচ্ছিন্নতা ডেকে আনছে এবং শিশুদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দাশ বলেন, ব্রিজ না থাকায় এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে শিশুদের সাঁতার শেখানো বাধ্যতামূলক। অন্যথায়, তারা স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারে না। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের খালের ভয় দেখে স্কুলে পাঠাতে চান না। শুধু বটতলীপাড়া থেকেই গজালিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এই খাল পার হয়ে স্কুলে যায়।শিক্ষক শ্যামল কান্তি দাশ আরও জানিয়েছেন, ১৫ নভেম্বর এক শিশুর পানিতে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ধাঁস করে তাকে উদ্ধারে সক্ষম হন। যদি স্কুলের পাশের এই খালে একটি ব্রিজ নির্মিত হতো, তাহলে শিশু শিক্ষার্থীরা এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতো। পাশাপাশি, এই ব্রিজের অভাবে দুই পারের কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থী প্রতিদিনের যাত্রা অনেক অসুবিধাজনক করে তুলছে।প্রতিদিন এই খাল পার হতে হয় বটতলী ও গজালিয়া এলাকার শিশুসহ শতাধিক ব্যক্তি। বেশিরভাগই ক্লান্ত ও আহত হয়ে পড়ে, আবার কোনোটা ভেজা পোশাক শুকাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, অনেকবারই খালের মাঝখান থেকে শিশুর ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এক স্থানীয় মো. ছগির উদ্দিন বলেন, ‘অতীতে এ রকম ঘটনা বহুবার ঘটেছে।’ গ্রাম সরদার মো. মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রায় দীর্ঘ বছর ধরে এ পরিস্থিতি চলে আসছে, তবে খালে ব্রিজ নির্মাণের জন্য কখনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।একই এলাকার শিশু রোকশানা আক্তার (৯) বলেন, আমি তুলাতলী হামিদ চরপাড়া থেকে স্কুলে আসি। এই খাল সাঁতরে পার হতে হয়। এতে অনেক ভয় লাগে। স্কুলের জন্য এই খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। একই দাবি করেছেন, তৃতীয় শ্রেণির শফিকুল ইসলাম, অন্য সন্তানরা ও অভিভাবক শামসুল হক। তিনি বলেন,