রৌমারীর চরাঞ্চলে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণে ৩৬০ পরিবার স্বাবলম্বী হচ্ছেন

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

বন্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনের কারণে রৌমারীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বসতবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, যার ফলে অনেক গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার সংকটে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের সাথে মিলেমিশে এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে দুর্যোগকালীন সহায়তা প্রদান ছাড়াও পরিবার ভিত্তিক আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে। এর ফলে ৩৬০টি পরিবারের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, রৌমারী উপজেলার ১২টি চরাঞ্চলে এ বছর ৩৬০টি দরিদ্র পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার উন্নয়নমূলক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। শীত ও গ্রীষ্মের মৌসুমে সবজি বীজ বিতরণ, আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ, ভেড়া সরবরাহের পাশাপাশি জৈব কৃষি ব্যবস্থা ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যাতে বন্যা পরিস্থিতির সময়েও সবজি উৎপাদন চালু রাখা যায়। একই সঙ্গে আদা চাষ, ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও জৈব সার ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরিবারগুলোর সামাজিক অঙ্গীকার ও সংহতি বাড়াতে পারিবারিক নির্যাতন ও আইনগত বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চরশৌলমারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মিয়ার চরে সরেজমিন দেখা যায়, গ্রামের ৩০টি বন্যাকবলিত পরিবার এখন শুধু আয়বৃদ্ধিমুখী কাজেই নয়, বরং সামাজিক উন্নয়নে যুক্ত হয়েছেন।

আছেিয়া বেগম জানান, ফ্রেন্ডশিপের ট্রানজিশনাল ফান্ডের মাধ্যমে তিনি ৪,১০০ টাকা মূল্যের ভেড়া পেয়েছিলেন। বর্তমানে তার কাছে পাঁচটি ভেড়া রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪৭ হাজার টাকা। অন্য এক কৃষক গোলজার আলী বলেন, আধুনিক সবজি চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এবার বাড়ির আঙিনায় উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে ২২ হাজার টাকা আয় করেছেন। এ জন্য তিনি পরিবারের খরচ চালানোর পাশাপাশি কিছু সঞ্চয়ও করতে পেরেছেন।

শেফালী বেগম জানায়, কেঁচো সার উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন তিনি প্রতি মাসে প্রায় ১৫ শত টাকা দরে ভার্মি কম্পোস্ট বিক্রি করেন।

আদা চাষে আরও সুবিধা পেয়ে আছমা বেগম ২৫টি বস্তায় আদা চাষ করেছেন এবং প্রত্যাশা করছেন প্রতি বস্তা থেকে এক থেকে দেড় কেজি আদা পাবেন। এই পরিবারের অন্য অনেকজনও বস্তায় আদা, সবজি উৎপাদন, জৈব সার তৈরি ও ভেড়া পালন করে বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত করেছেন।

আবু হানিফ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও তালাকের বিষয়গুলো নিয়ে জানলাম। এখন প্রয়োজন হলে ফ্রেন্ডশিপের বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ নেওয়া যায়।’

এছ_RGBANAMEsetter adabased in