বিমা আইন সংশোধনের আগে আইডিআরএর সংস্কার প্রয়োজন

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

বিমা আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের ধারা ও উপধারা সংযোজনের বিষয়টি বিবেচনা করলে দেখা যায়, এই খাতে কার্যকর এবং দক্ষ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের দরকার অনেক আগ থেকেই ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই জন্য প্রথমে প্রয়োজন আইডিআরএর ব্যাপক সংস্কার, যাতে বলা যায় আধুনিক, স্বচ্ছ ও শক্তিশালী অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়। শনিবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একটি মতবিনিময় সভায় এসব কথা ওঠে। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বিমা বিষয়ক এক বিশেষ প্ল্যাটফর্ম, ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিআরএর সাবেক সদস্য (লাইফ) সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা। তিনি আলোচনা করেন, কীভাবে আইডিআরএর কার্যক্রম ও আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই শিল্পের স্বচ্ছতা, উন্নয়ন এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি সম্ভব। এছাড়াও, বিআইপিডির মহাসচিব কাজী মো. মোরতুজা আলী ও প্রভাবশালী সাংবাদিক প্রণব মজুমদার মতামত ব্যক্ত করেন। বক্তারা উল্লেখ করেন, অর্থাৎ, ২০১০ সালে যখন বিমা আইনের নতুন সংস্করণ গৃহীত হয়, তখন থেকে অনেক যান্ত্রিক সমস্যা ও অপ্রতুল কাঠামো রয়েই গেছে। নিয়ন্ত্রণে কেবল আইনের ধারা পরিবর্তন করা হলেও বাস্তবে কোনও বড় পরিবর্তন আসেনি, বরং কিছু উন্নয়নমূলক দাবি অনুপস্থিতই রয়েছে। বিশেষ করে লাইফ বিমা খাতের টাকা তছরুপ, গ্রাহকদের দাবির পরিশোধ, অবৈধ কমিশন বন্ধ করার মতো উদ্যোগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আরো দাবি উঠে, ২০১০ সালে গঠিত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখনো বহাল রয়েছে এবং তার কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে, বিমা আইন-২০১০ এর যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হয়নি। মূল প্রবন্ধে বিশ্লেষণ করেন, বর্তমান সংশোধনী প্রস্তাবের ১৬০ ধারার মধ্যে, প্রায় ৯৯টি ধারাই অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে উপধারা পরিবর্তন, সংযোজনে অনেক কিছুই নতুন যোগ হয়েছে। এ ছাড়া, কিছু ধারায় বদলি, বাতিল ও নতুন ধারাসহ সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরাসরি বলা হয়, আইডিআরএর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য जरूरी দক্ষ জনবল তৈরি করতে এখনই সময়। দেশে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মকর্তার অভাব রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। বক্তারা আরও বলছেন, শুধু আইন সংশোধনই নয়, বরং আইডিআरএর দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন জরুরি; যাতে করে এই সংস্থাটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও যোগ্য নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। উল্লেখ করেন, এই খাতের উন্নতি দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য অপরিহার্য বিষয়। সবাই চাই, যেন সবার জন্য বিমার সুফল পৌঁছে যায় এবং ব্যাপকভাবে রিটেইল মাধ্যমে এই সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়। এতে শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নয়, উদ্যোক্তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। শেষদিকে, বক্তারা বলেন, জনবান্ধব ও গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন করে এই খাতের ভবিষ্যৎ শক্তিশালী করে তুলতে হবে।