নাহিদ ইসলাম বলেন, আসনের জন্য কারও সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

নাহিদ ইসলাম, এনসিপির আহ্বায়ক, স্পষ্ট করেছেন যে তারা ভবিষ্যতের নির্বাচনে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, কোনো ধরনের ক্ষমতা বা আসন লাভের জন্য তারা কারও সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা করবেন না। যদি তারা একটি আসনও না পায়, তবুও তাদের নীতি, আদর্শ ও লক্ষ্যে অটুট থাকবে।

রোববার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এই সংবাদ সম্মেলনে তারা জানিয়েছেন, আগামী ৬ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি চলাকালে এই বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর একই স্থানে ৩০০ আসনের জন্য দলটি প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৮৪ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাদের দল নিয়ে নানা গুঞ্জন ও অপ্রমাণিত খবর ছড়াচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত এবং বিভ্রান্তিকর। তিনি স্পষ্ট করে বলছেন, তারা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও প্রস্তাবিত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী জনগণের সামনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চায়। তবে যদি অন্য কোনো দল বা শক্তি তাদের মতামত বা নীতির সাথে ঐকমত্য পায়, তাহলে আলোচনা ও সমঝোতার জন্য তারা উন্মুক্ত। এই সমঝোতা নীতিগত ও আদর্শিক ভিত্তির উপর হতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা যদি কারও সঙ্গে কোনো ধরনের জোট বা আলোচনা করি, তবে সেটা খুবই খোলামনে ও স্পষ্টভাবে হবে। গণমাধ্যমে প্রয়োজনে এর সবকিছু ব্যক্ত করা হবে। কিন্তু এতোদিন কিছু মিডিয়া ট্রায়াল চালানো হচ্ছে—যা আলোচনা বা আলোচনা না করেও চলছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ আলোচনা ও প্রক্রিয়া রয়েছে, যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। এ ধরনের আলোচনাকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ফ্রেমিং করে প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা না করাইProper।’

নাহিদ ইসলাম বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশি রাজনীতিতে গভীর পরিবর্তনের সূচনা হলেও, কিছু রাজনৈতিক দল পরিস্থিতিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতেছে। তারা এখন মুখে-মুখে চুক্তি বা জোটের কথা বলছে, কিন্তু প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো ভাগ-বাঁটোয়ারা ও সর্ম্পক নির্ধারণ। তিনি মন্তব্য করেন, এই ধরনের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্য এনসিপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং তারা কোনো ধরনের চুক্তি বা সমঝোতা স্বীকার করবে না, বরং বরাবরের মত এর বিরোধিতা করবে। এভাবে, তারা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাবে।