তারেক রহমান: ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির শিখরে উঠার যাত্রা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৫ কোনো কোনো জন্মদিন শুধুই ব্যক্তিগত আনন্দের নয়; এটি সময়ের ইতিহাসে গভীর ছাপ ফেলে। ২০ নভেম্বর এমন একটি দিন—যখন পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এমন একজন মানুষ, যার জীবন, সংগ্রাম এবং নীরব শক্তি আজও এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের বাতি জ্বালিয়ে যাচ্ছে। তিনি হলেন জনাব তারেক রহমান—যিনি জন্মসূত্রের পরিচয় ছাপিয়ে হয়ে উঠেছেন দেশের স্বপ্ন, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এবং ইতিহাসের অম্লান একজন চেহারা। উত্তরাধিকার থেকে উত্তরণের সংগ্রাম: একজন নেতার নির্মাণ স্বাধীনতার মহান ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও অদম্য নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে 그의 শৈশব ও তরুণ জীবন শুরু হয়েছিল রাজনীতি ও রাষ্ট্রবোধের আবহে। কিন্তু তিনি কখনোই পরিবারের গৌরবের উপর ভর করে নেতৃত্ব দাবি করেননি; বরং জানতেন—নেতৃত্ব দাবি নয়, অর্জন করতে হয় মানুষের হৃদয়ে আস্থা। এজন্য তিনি গ্রাম থেকে শহর, নদী থেকে পাহাড়, কৃষকের ঘর থেকে শ্রমিকের কুটির পর্যন্ত হাঁটছেন। মানুষের কষ্ট শুনেছেন, তাদের নীরব আর্তনাদ হৃদয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি মাটির গন্ধ থেকে শিখেছেন রাজনীতি কেমন হয়, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা কত গভীর—এভাবেই নিজের ভিতরে গড়ে তুলেছেন সত্যিকারের নেতৃত্বের ভিত্তি। জনগণমুখী নতুন রাজনীতির নির্মাতা তারেক রহমান রাজনীতি কেবল ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখেননি, বরং সেটাকে মানুষে পৌঁছানোর এক পথ মানেছেন। তার ভাষণে যেমন রয়েছে সংযম, তেমনি রয়েছে বাস্তবতা। তিনি বিশ্বাস করেন—চলমান রাজনীতি তখনই জীবনোন্নত, যখন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও দুঃখরা মুখ্য আলোচ্য বিষয় হয়; যখন গ্রাম-বাংলার চায়ের দোকানের আলোচনা রাষ্ট্রের সমস্ত দিক নির্দেশনার সমান গুরুত্ব পায়; যেখানে দল নয়, মানুষই হয়ে ওঠে নেতৃত্বের মূল স্তম্ভ। তরুণদের তিনি শেখান স্বপ্ন দেখতে, শ্রমজীবী মানুষকে বুঝতে নিজের অধিকার, এবং দলকে তিনি দেখিয়েছেন—শক্তির মূল হলো তৃণমূলের আস্থা, মানুষের বিশ্বাস ও সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব। এইভাবে তিনি তৈরি করেছেন জননির্ভর এবং মানবিক এক নতুন রাজনীতির ভিত্তি। ব্যক্তিজীবনের নীরবতায় লুকানো অগ্নিশিখা ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন সংযত—নিখুঁত কাজের মতো নিখুঁত, তবে নীরব। শব্দ দিয়ে নয়, নজর ও দৃষ্টির গভীরতায় মানুষকে আশ্বস্ত করেন। নিজের অবস্থা বা বেদনা কখনো ব্যক্ত করেননি, বরং দেখিয়েছেন—সত্যিকারের নেতা হওয়ার প্রথম শর্ত নিজের কষ্টের সঙ্গে লড়াই, আর মানুষের কষ্ট শুনে তার সমাধানে মনোযোগ দেয়া। তার নীরবতা কোনও দুর্বলতা নয়, বরং এক মহৎ শক্তির প্রকাশ। এই নীরবতায় লুকিয়ে আছে অদম্য সাহস, ধৈর্য ও সহনশীলতা, যা একজন নেতাকে বাস্তবের কঠিন বাঁকে টিকে থাকতে সাহায্য করে। দুঃসময়ের অগ্নিপথে অবিচল সৈনিক হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের নির্মমতা তার জীবনকে এক ভয়ংকর ইতিহাসে পরিণত করেছে। অমানবিক নির্যাতনের বিপরীতে তিনি নিঃশব্দে বহন করেন, হাজারো মিথ্যা মামলার বোঝা বয়ে চলেন। রায়হীন রায়ের শিকারে পরিণত হয়ে তার দিন কাটে অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে; কিন্তু তিনি কখনো ভেঙে পড়েননি। কারাগার ও নিপীড়নের অন্ধকারেও তার দৃষ্টিতে ছিল ভবিষ্যতের আলোর ঝলক। প্রতিহিংসার আবর্তেও তার হৃদয় অটুট ছিল মানবিকতার দ্যুতি দিয়ে। তিনি প্রমাণ করেছেন—শারীরিক ক্ষতি আসলে নেতৃত্বের আত্মাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না। ভেঙে পড়েননি, বরং আরও দৃঢ় হবেন তিনি দেশের জন্য। দুর্বিষহ আত্মীয় হারানো বা নির্বাসনের কষ্ট তাকে কখনো দুর্বল করেনি; বরং দেশ থেকে দূরে থেকে তিনি বাংলাদেশের মানচিত্রকে আরও স্পষ্ট করে দেখেছেন। জন্মভূমি থেকে দুরে থাকলেও, তার চিন্তা ও হৃদয় বাংলাদেশের জন্য অটুট। রাষ্ট্রদর্শন: স্বপ্নের বাস্তব চিত্র তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্র কেবল একটি রাজনৈতিক অনুসঙ্গ নয়, এটি মানুষের মর্যাদার ভিত্তি। তিনি বলেন—একটি রাষ্ট্র যদি মানুষের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে না পারে, তার উন্নয়ন কাগজের অলংকার ছাড়া কিছুই নয়। তার দৃষ্টিতে একজন সৎ রাষ্ট্রহীন নয়, সুবিচার ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা—এটাই সত্যিকার উন্নতির মূল। তিনি চান এমন এক রাষ্ট্র যেখানে সবাই সমান অধিকার পায়, যেখানে সম্পদ ন্যায়সঙ্গতভাবে বিতরণ হয়, তৃণমূল থেকে ক্ষমতায়ন হয়, কর্মসংস্থান নিশ্চিত, প্রযুক্তির ব্যবহার সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য, এবং সর্বোপরি—জনতার অধিকার ও স্বাধিকার রাষ্ট্রের কেন্দ্রীভূত। তিনি এক আদর্শ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে মানুষ ভয় না পেয়ে, বিশ্বাসের ভিত্তিতে চলতে পারে, যেখানে আইন সবজনের জন্য সমানভাবে কার্যকর, এবং যেখানে ন্যায়বিচার প্রকৃতির মতোই মানুষের সম্পদ। অর্জন ও অপ্রাপ্তির আলো তারেক রহমানের জীবন মানবতার জন্য উৎসর্গিত—তেমনি আছে ত্যাগের দীপ্তি ও মানুষে আস্থার প্রশ্ন। তিনি কোটি মানুষের নেতা, তরুণ প্রেরণার উৎস ও গণতন্ত্রের সংগ্রামী প্রতীক। তিনি রাষ্ট্রের ভেতর থাকুক বা বাইরে, তার প্রভাব গভীর। মানুষের হৃদয়ে তিনি থাকেন, মানুষের কণ্ঠে আছেন। কিন্তু জীবনের অপ্রাপ্তি ও সংগ্রামের অন্ধকার যুগে রয়েছে তার কঠিন স্মৃতি—মা’র দীর্ঘ কারাবাস, ছোট ভাইয়ের হত্যা, সহযোদ্ধাদের গুম-খুন, নিজের দেশের আকাশ দেখতে না পেয়ে দীর্ঘ দিন যে বেদনায় কাতর হয়েছেন। এই সব বিপদগুলো তার নেতৃত্বের শক্তিকে ভেঙে দেয়নি; বরং আরও মানবিক, আরও দৃঢ় ও তীক্ষ্ণ করে তুলেছে। আজকের বাংলাদেশ তার ফিরে আসার অপেক্ষায় একটি জাতির মন আজ গভীর অপেক্ষায়—এই মানুষটিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। যে ব্যক্তি অতীতের শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে বুঝেন এবং ভবিষ্যৎ সাজাতে চান। যে নেতা অন্যায়ের সামনে নতি স্বীকার করেন না, যে নেতা প্রতিহিংসা নয়, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে লড়াই করেন। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন মানে কেবল একজন নেতার ফিরে আসা নয়, বরং গণতন্ত্রের নবরূপ, আইনের শাসনের পুনরুদ্ধার ও নৈতিক আদর্শের নতুন জাগরণ। তিনি সেই আলোর নামে, স্বপ্নের দিশারী ও ভবিষ্যতের প্রতীক—যাকে কেন্দ্র করে এক জন বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে একতাবদ্ধ হতে অপেক্ষা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের মর্যাদাকে রাষ্ট্রের সবচেয়ে পবিত্র শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে, ভয়কে দূরে ঠেলে দিয়ে, সত্যকে আমাদের পথের দিশারী করে, এগিয়ে যাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে। আজকের দিন সেই স্বপ্নের উৎসব, এই দিনে তার জন্মদিনে আমাদের অঙ্গীকার—এক ক্ষণস্থায়ী নয়, এক অবিরাম বিজয়ের পথে আমরা একত্র হয়ে এগিয়ে যাব।। শুভ জন্মদিন, প্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান। আপনার যাত্রা হোক আলোয় ভরা, আপনার প্রত্যাবর্তনে উজ্জ্বল হোক আমাদের বাংলাদেশ। মহান আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে নেক হায়াত দান করুন। আমিন। SHARES রাজনীতি বিষয়: