নওগাঁয় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলার উৎসব অনুষ্ঠিত

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২৫

বুধবার ১৯ নভেম্বর বিকেল ৫টায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, পাতাখেলা ও হাড়িভাঙার খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও শিশু-কিশোররা, যারা উৎসাহের সাথে এসব খেলা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ৫নং কোলা ইউনিয়ন বিএনপি, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রথমে গেল লাঠি খেলার আয়োজন, এরপর চলতে থাকল পাতাখেলা এবং শেষে হাড়িভাঙার খেলা। বিশেষ করে পাতাখেলার সময় দেখানো হয় অদ্ভুত ও রোমাঞ্চকর দৃশ্য। বিভিন্ন বয়সের ছেলেরা পাতা তুলে ধরে, কেউ গামছা দিয়ে পাতা টানার খেলা করছে। এই দৃশ্য দেখে আশে পাশে থাকা প্রায় ১০ হাজার শিশু, নারী ও পুরুষ খুবই আনন্দিত ও উৎসাহিত হন।

আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কোলা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল, যিনি সম্প্রতি নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত এমপি প্রার্থী।

অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকির হোসেন চৌধুরী, সহ-সভাপতি রেজাউল নবী স্যান্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান ও রবিউল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু রায়হান গিটার, সদস্য নুরুল ইসলাম, মহিলা দলের সদস্য মনিরা সুলতানা, কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন সহ অন্যান্য অতিথিরা।

আয়োজনে অংশ নেন ক্ষুদে শিক্ষার্থী মাহি, বৃষ্টি এবং ফাথেমা। তারা আনন্দ ও উৎসাহের সাথে বললেন, আমরা খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। খুব ভালো লাগলো, এ ধরনের গ্রামীণ খেলা উপভোগ করে খুবই আনন্দিত।

স্থানীয় অনেকেই বললেন, আজ থেকে প্রায় ৫-৭ বছর আগে একবার এই খেলাগুলো হয়েছিল। ফজলে হুদা বাবুলের উদ্যোগে আবার আজ আয়োজন করা হলো। তাদের মতে, এই ধরনের গ্রামীণ খেলাধুলা দেখতে সত্যিই ভালো লাগে।

প্রধান অতিথি ফজলে হুদা বাবুল বলেন, গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো হারিয়ে যেতে চলেছে। প্রতিটি খেলারই নিজের ঐতিহ্য রয়েছে। আমি চাই বর্তমান প্রজন্ম এসব খেলার ইতিহাস ও অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানুক এবং দেখুক। এ জন্য আমি এই আয়োজন করেছি। তিনি আরও জানান, তিনি এলাকায় গ্রামীণ ভেলাগুলোর কার্যক্রম চলমান রাখার লক্ষ্যে কাজ করবেন, যাতে এগুলো আমাদের ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রাখতে পারি।