পুকুর ও জলাশয় রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব: পরিবেশ উপদেষ্টা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে খাস পুকুর ও জলাশয় রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি খতিয়ান অনুযায়ী ঢাকা জেলা ও মহানগরে মোট ১১৩টি খাস পুকুর রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি প্রথম পর্যায়ে সংস্কারের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই জলাশয়গুলোর সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, সীমানা পিলার স্থাপন, পুনঃখনন, পাড় বাঁধাই, দূষণমুক্তকরণ, পানি প্রতিস্থাপন, বাঁধানো ঘাট, ওয়াকওয়ে, বেঞ্চ স্থাপন এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশের উন্নয়ন করা হবে। এর ফলে জলাবদ্ধতা কমবে, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হবে, মাছের চাষ-আন্তর্জাতিক কৃষি কার্যক্রম এবং নগর পরিবেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে। আজ শনিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ‘ঢাকা মহানগর ও উপজেলা এলাকার ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্প’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজধানী ও আশপাশের জলাধারসমূহের সংরক্ষণ ও পুনর্গঠনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ অতীব জরুরি উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকা শহরের পুকুরগুলো দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে ঝুঁকিগ্রস্ত। তা পরবর্তী ধাপে ধাপে পুনর্গঠনের জন্য বাকি জলাশয়গুলোর তালিকা তৈরি করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি। তিনি আরও বলেন, মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, স্থানীয় জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে এই প্রকল্প পরিচালনা করা হবে, যা পরিবেশের সুরক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নতিতে সহায়ক হবে। পদক্ষেপ হিসেবে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিষয়ে তিনি বলেন, পলিথিন দূষণ অন্তর্ভুক্ত পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি। সরকারের কড়া নজরদারি এবং জনসচেতনতায় সুপারশপগুলো এখন শপিং ব্যাগে পলিথিন ব্যবহার কমানোর লক্ষ্য রাখছে। তিনি নাগরিকদের দায়িত্ববোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলছেন, পরিবেশ রক্ষায় সকলের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ অপরিহার্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া। সংশ্লিষ্ট সকলের দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকার জলাধারসমূহের স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ফিরে আসবে এবং জলবায়ু সহনশীল নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে।