গণতন্ত্রে ফেরার জন্য নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প: মির্জা ফখরুল

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য নির্বাচনের বিকল্প আর কিছুই নেই। তিনি বলছেন, বিএনপি সব সময় গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয়েছে। টাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহার মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তবে গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হলেও তার চর্চার সুযোগ আসেনি। বারবার গণতন্ত্রকে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, এমনকি একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু জুলাইয়ের গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে এখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সুযোগ এসেছে, এবং এখনই সময় গণতন্ত্রে ফিরে আসার। তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার জন্য সব উদ্যোগ নিয়েছে এবং সংস্কার অভিযান শুরু করেছে। তিনি জানান, সরকার বা অন্য কেউ ভিন্নমত পোষণ করতে পারে, সেখানে কোনো বাধা নেই। তবে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং এর মাধ্যমে সাংবিধানিক সংসদ গঠন করা হবে, যেখানে সব পক্ষের মতামত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, পিআর বা জনমতপ্রচারে চাপ দিতে চান না; বরং সাধারণ মানুষকে বোঝানো ও প্রস্তুত করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে অগ্রসর হতে চান তিনি।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এর ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যতটা সম্ভব বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে জোরদার করব। আমাদের লক্ষ্য দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি। সব মানুষের, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কাজ করব।

মির্জা ফখরুল ভবিষ্যতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ‘জনগণের সরকার’ গঠন করার আশ্বাস দেন। তিনি বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গণআভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি সত্যিকার জনগণের সরকার গঠন করতে সক্ষম হব।

জনপ্রিয় নেতা জিয়াউর রহমানের ধারণা অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ তার রাজনৈতিক দর্শনের মৌলিক অঙ্গ। তিনি বলছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ঘটিয়েছিলেন এবং একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বলছেন, বর্তমানে যে সংস্কার আলোচনা চলছে, তার সূচনা করেছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তবে তিনি কিছুই শেষ করতে পারেননি। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)।

আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদ সোহরাব, জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান, যিনি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন।