জয়পুরহাট-১ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভিড়ে উত্তেজনা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৫ জয়পুরহাট-১ আসন (জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা) ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। आगामी ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। সম্প্রতি, বিএনপি থেকে মোঃ মাসুদ রানা প্রধানকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এই জেলার পাশের বগুড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার মধ্যে এই সিদ্ধান্তে মাঝে-বিশ্লেষণ চলছে। সেখানে বিএনপির বেশ কিছু হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বগুড়া জেলা, যা বিএনপির অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত, এর আশেপাশের জেলার মধ্যে জয়পুরহাট অন্যতম। স্বৈরাচারী শাসনের সময়ে ‘রাতের ভোট’ ও ডামি নির্বাচন ছাড়া এই জেলার দুটি আসনে বিএনপির দখল ছিল দৃঢ়। গত মঙ্গলবার মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই এই বিষয়টি জোরালো হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, বগুড়ার ৬ ও ৭ নম্বর আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মনোনীত হয়েছেন। ১৯৮৪ সালে গঠিত এই জয়পুরহাট ১ আসনটি বিএনপির জন্য একটি শক্তিশালী প্রতীকের মতো। ১৯৮৬ থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট দশটি সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি চারবার এই আসনটি জিতেছে। বিশেষ করে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময়, যখন বর্তমান বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ছিল, তখনও এই আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। তবে ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে, তখন থেকেই এই আসনটি শূন্য। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আওয়ামী লীগ এই আসনে বিজয় লাভ করে। বর্তমানে, এই আসনটি দলটির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের নির্বাচনের জন্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আলিম এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান মনোনয়নের প্রত্যাশী। তাঁদের মধ্যে, প্রয়াত আব্দুল আলিমের সন্তান ফয়সল আলিম, যিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এই আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিএনপি সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এই আসনটি যদি শক্তিশালী প্রার্থী দ্বারা দখল না রাখা হয়, তবে নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। তবে, মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী দলের মধ্যে এখনও গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বিশেষ করে জামায়াতের অংশগ্রহণের কারণে কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারেন বলে মনে করে নেতাকর্মীরা। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, এই মনোনয়নটি জামায়াতের জন্য সুবিধা হতে পারে, যেখানে এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন, জামায়াত নেতারা প্রার্থীদের দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরে ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছেন। বিশেষ করে, চাঁদাবাজি, আওয়ামী লীগ কর্মীদের পুনর্বাসনে হস্তক্ষেপ, আত্মীয়তবাদ ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগগুলো ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুর্বল করবে বলে তাদের আশঙ্কা। স্থানীয় সাধারণ নাগরিক, নারী ও তরুণ ভোটাররা মনে করছেন, এই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুর্বল প্রার্থী থাকলে বিএনপির সাফল্য আরও কমে যেতে পারে। অনেকের ধারণা, যদি একজন ক্লিন ইমেজের তরুণ প্রার্থী থাকতেন, তাহলে এই আসনে বিএনপির ফলাফল আরও ভাল হতে পারত। সব মিলিয়েআই, জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন জামায়াতের জন্য দুর্বলতা নিয়ে এসেছে, যা দলের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। ভবিষ্যতে এই আসনে বিএনপি কীভাবে জামায়াতের সম্ভাব্য বিজয় রোধ করবে, এটি এখন স্থানীয় রাজনীতির মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। SHARES জাতীয় বিষয়: