তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার রায় ২০ নভেম্বর Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৫ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর জন্য করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ২০ নভেম্বর। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই তারিখ নির্ধারণ করেন। টানা ১০ দিন ধরে চলে শুনানি শেষে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই ঐতিহাসিক মামলার রায়ের দিন নির্ণয় করেছেন। বেঞ্চের অন্যান্য বিচারপতির মধ্যে রয়েছেন—বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, বিএনপির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতে ইসলামের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহামদ শিশির মনির। আরও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, মহসীন রশিদ ও শাহরিয়ার কবির। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। উল্লেখ্য, এই মামলার শুনানি শুরু হয় ২১ অক্টোবর, যেখানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য অবদান রাখা হয়। আগের রায়ের বিরুদ্ধে, যা ২০১১ সালে মুক্তি পায়, এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে দৃষ্টিতে আসে অনেক সংশয়। ১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়, যা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জされেছিল। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট এ রিট খারিজ করে এবং এই ব্যবস্থা বৈধ ঘোষণা করে। এরপর ২০১১ সালে আলাদা এক রায় দিয়ে আপিল বিভাগ সেই সংবিধান সংশোধনী বাতিল করে, যা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। এর ফলে ২০১১ সালে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, যা ৩০ জুন সংসদে গৃহীত হয়। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর, এই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন আবেদন করেন। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। চলমান এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সকলের দৃষ্টি এখন ২০ নভেম্বরের রায়ের ওপর। SHARES জাতীয় বিষয়: