পাকিস্তান থেকে আসা কনটেইনারে ২৫ টনের নিষিদ্ধ পপি সিড উদ্ধার Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৫ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস পাকিস্তান থেকে আসা দুটি কনটেইনারে বিপুল পরিমাণ ডোপ স্টার্টস, অর্থাৎ ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি আমদানি নিষিদ্ধ পপি সিড (পোস্ত দানা) জব্দ করেছে। কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এই চালানটি আটক করে। গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে নামানো হয় এই দুটি কনটেইনার। মূল্যমানের দিক থেকে এই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা হলেও, আমদানিকারকরা মিথ্যা ঘোষণায় মাত্র ৩০ লাখ টাকার মূল্য দেখিয়েছিলেন। কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচএম কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই চালানটি শনাক্ত এবং আটক করা হয়। চালানটি চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জের মেসার্স আদিব ট্রেডিং নামে একটি কোম্পানির নামে ছিল। পরে বন্দর থেকে এই কনটেইনারগুলো সরিয়ে নেওয়া হয় ছাবের আহমেদ টিম্বার কম্পানি লিমিটেড নামে একটি সংস্থার ডিপোতে। দীর্ঘদিন ধরে আমদানি নীতি ও দেশের মাদক আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, আমদানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী পপি সিড বা পোস্ত দানা আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকায় রয়েছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, যদি এই পপি সিড অঙ্কুরোদগমের উপযোগী হয়, তবে এটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত হবে। ভারতের মতো কিছু দেশে পোস্ত দানা রান্নার মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, এর মাদক উপাদান বা অপব্যবহার সম্ভাবনার কারণে বিশ্বের নানা দেশে এর আমদানিতে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের শান্তিবাগে অবস্থিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমএইচ ট্রেডিং এই চালানটি ১৪ অক্টোবর খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। সন্দেহের ভিত্তিতে এর খালাস সাময়িকভাবে স্থগিত করে ২২ অক্টোবর ডিপো ও সিঅ্যান্ডএফ এর উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা চালানো হয়। তদন্তে দেখা যায়, চোরাচালানের জন্য কনটেইনারের মুখের দিকে সামান্য পরিমাণে ৭,২০০ কেজি বার্ড ফু্ড (পাখির খাবার) সাজানো হয়েছিল, কিন্তু আসলে ভেতরে রাখা ছিল ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি নিষিদ্ধ পপি সিড। কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার আরও জানান, আটককৃত এই চালানের নমুনা উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোতে পাঠানো হয়। ল্যাব রিপোর্টে পপি সিড হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর, আইনানুযায়ী এই চালানটি আনুষ্ঠানিকভাবে আটক করা হয়। অবশেষে, এই জড়িত আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। এই ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো আরো কঠোর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: