জামায়াতসহ ৮ দলের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৫ আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক বিশাল জনসমাবেশ, যা অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনের পাঁচ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত নানা ধরনের কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীসহ মোট আটটি দল—জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল। শনিবার ঢাকার জামায়াতা আলী মাজারে অবস্থিত জাগপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সকল দলগুলোর যৌথ লিয়াজোঁ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলের নেতারা গড়ে তুলেছেন স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, আসন্ন সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের প্রতি প্রশাসনকে সতর্কবার্তা দেওয়া হবে এবং দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। আলোচনায় জানা গেছে, ১১ নভেম্বরের সমাবেশটি সফল করার জন্য সব দল একযোগে কাজ করবে। এই সমাবেশে প্রধান লক্ষ্য হলো, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ এবং জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোট অনুষ্ঠান করা। এতে আরও বলা হয়, এই দাবি না মানলে সমাবেশ থেকে কঠোর প্রতিবাদ ও আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে। তাদের অঙ্গীকার, আলোচনা ও সমঝোতার জন্য বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে, যদি বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি না হয়, তাহলে তাদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, দেশের স্বার্থে অন্য দলগুলো যথোচিত কঠোরতা সহকারে আন্দোলনে নামবে। বক্তারা উল্লেখ করেছেন, গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচনের সময়ের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য থাকতে হবে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হবে, এটা নিশ্চিত করা হবে। অন্যথায়, ১১ নভেম্বরের জনসভা থেকে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক রাশেদ প্রধান, এবং বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী আকন্দ, খেলাফত মজলিসের সদস্যরা, আরও অনেক প্রকৌশলী ও পর্যবেক্ষক। আন্দোলনরত দলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, এর ওপর গণভোটের মাধ্যমে প্রতিফলন, জাতীয় নির্বাচনের আগে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির চালু করা, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ন্যায্য পরিবেশ সৃষ্টি, ও অতীতের সরকারের জুলুম, গণহত্যা, দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা। এছাড়াও দাবি করা হয়েছে, দেশের স্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য এসব পরিবর্তন অপরিহার্য। SHARES রাজনীতি বিষয়: