জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি: আঙুল বাঁকা করে ঘি তুলতে হবে না, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৫ জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আমি আঙুল বাঁকা করব।’ তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত গণমিছিল ও সমাবেশে। তাহের বলেন, ‘আপনাদের চালাকি আমি বুঝি। আপনারা চালাকির ভিত্তিতে দাবি আদায়ের নতুন পথ খুঁজে পাব। তবে আমরা এখনো নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’ জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা আটটি দল গত কয়েক দিন ধরে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মূল দাবিগুলো হলো – জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, নির্বাচনের আগে গণভোট, এবং অন্যান্য সাংবিধানিক পরিবর্তন। এর অংশ হিসেবে তারা গতকাল আলাদা আলাদা মিছিল করে পল্টন মোড়ে সমবেত হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সভা শেষে দুপুর ১২টার দিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের পথে রওনা দেয়। সমাবেশে তাহের আরো বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পরও গণভোটে আইনি বাধা নেই। সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে চায় কিছু লোক।’ তিনি জানিয়ে গেছেন, গণভোটের জন্য টাকা-পয়সার কোনো অভাব হবে না। ‘একদিনে বাংলাদেশে এত চাঁদাবাজি হয়, সেই টাকা দিয়ে একটা গণভোট করা সম্ভব,’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাহের আরও জানান, জামায়াত trecho প্রতিবাদ ও আলোচনা করার জন্য সরকারের সঙ্গে আলাদা কমিটি গঠন করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্যান্য দলগুলোও আলোচনার জন্য কমিটি করবে। তিনি বলেন, ‘জনতা মনে করে মেজর দলগুলো শুধু জুলাই সনদেই নয়, আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা নিয়েও আলোচনা করবে। নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হবে না—এমন মতামত অবদান রাখতে হবে। টেলিভিশনে ঘোষণা দিতে হবে, কেন্দ্র দখল বা ভেঙে ফেলা হলে সেটি বাতিল হবে এবং নতুন নির্বাচন দেয়া হবে।’ তিনি বিশেষ করে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে আবেদন জানান। তাহের বলেন, ‘প্রথমে স্মারকলিপি দিতে হবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে, তবে সেটি না মানলে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকা মহানগরী পুরো জনতার নগরীতে রূপান্তরিত হবে।’ এরপরও যদি সাংবিধানিক ব্যবস্থা কার্যকর না হয়, তবে গণভোটের দাবি আরো জোরালো হবে। এছাড়া, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান দাবি করেন, জাতীয় নির্বাচন যতই পিছোনো হোক না কেন, গণভোটের প্রক্রিয়া আগে সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন যতই আসুক, গণভোট আগে দিতে হবে। যারা বলছে, সংস্কার লাগবে না, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না।’ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী মহাসচিব হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী ও আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ। আলোচনার পর, দুপুর ১২টার পর দলগুলোর নেতাকর্মীরা পল্টন থেকে গণমিছিল নিয়ে যমুনার পথে এগিয়ে যায়। কিন্তু মৎস্য ভবনের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আট দলের নয়জন নেতার একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যান। এতে অংশ নেয় মিয়াগোলাম পরওয়ার ও হামিদুর রহমান আযাদ, গাজী আতাউর রহমান, এনামুল হক মূসা, আহমদ আলী কাসেমী, ইউসুফ সাদিক হক্কানী, মুসা বিন ইযহার, রাশেদ প্রধান ও একেএম আনোয়ারুল ইসলাম। SHARES রাজনীতি বিষয়: