গজারিয়া-মতলব উত্তর সড়কে মেঘনা-ধনাগোদা সেতুর নির্মাণকাজের পরিদর্শন সেতু সচিবের

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৫

সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজ (৬ নভেম্বর, ২০২৫) মতলব উত্তর (চাঁদপুর) এবং গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলার সংযোগস্থলে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর নির্মিত হতে যাওয়া সেতু প্রকল্পের এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পরিদর্শনে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, প্রকল্প পরিচালকসহ উভয় উপজেলার নির্বাহী অফিসার এবং স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০:৩০-এ সচিব মহোদয় গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর থেকে শুরু করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর পর্যন্ত প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট এবং নদীশাসন এলাকায় বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি নদীর গভীরতা, স্রোতের গতি, ভূতাত্ত্বিক অবস্থানসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিততা লাভের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি অংশের মধ্যে সমতা নিশ্চিত করা ও ব্যয়সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত করা। এই সেতুটি মূলত চাঁদপুরের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে, যা দীর্ঘ সময় ধরে চলমান যানবাহন ও যানচালনার চাপ কমাতে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, সেতুটি পরিচালনায় স্থানীয় অর্থনীতির প্রসার ঘটবে, বিশেষ করে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের মাছ ও কৃষিপণ্য রাজধানীতে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারবে। এর ফলে প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীদের জীবনের মান উন্নত হবে।

সচিব মহোদয় আরও উল্লেখ করেন, সেতু নির্মাণের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর চাপ কমবে এবং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও উৎসাহ যোগাবে। তিনি আশ্বাস দেন, জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে উচ্চমানের প্রকৌশল ও পরিবেশবান্ধব নকশা অনুসরণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের ডিটেইলড ডিজাইন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চলমান ও অগ্রগতি লাভ করছে। তিনি মতলব উত্তর অংশের সড়কের সম্প্রসারণের জন্য সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী들을 নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শন শেষে তিনি সচিব, সেতু বিভাগ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় stakeholderগণের সাথে আলোচনা করে ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ নির্ধারণ করেন। সকলের সহযোগিতায় এই মহৎ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, এই সেতুটি হবে ১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেন বিশিষ্ট ক্যাবল স্টেইড সেতু, যার স্প্যানের দৈর্ঘ্য বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ হবে।