পদ্মার চরে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় নতুন মামলা, প্রতিপক্ষকে আসামি করা হয়েছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার রাতে কাকন গ্রুপের নিহত লিটন হোসেনের ভাই আলী হোসেন দৌলতপুর থানায় এ নতুন মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে তাঁদের পাশাপাশি আরও ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডলও কাকন বাহিনীর প্রধানসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেন, যেখানে আরও ২০ থেকে ৩০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায়। পারস্পরিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসময় বাঘার মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনী মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) এবং শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। তাঁরা মূলত কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে তাঁরা পূর্ববর্তী সময় বাঘার নিচ খানপাড়ায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। অন্যদিকে, পরের দিন মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে কাকন বাহিনীর সদস্য ও কসমেটিকস ব্যবসায়ী লিটন হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তিনি ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামিরুল ইসলামের ছেলে। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘পদ্মার চরে নিহতের ঘটনায় একটি নতুন মামলা হয়েছে। তবে এই দুই মামলার কোনো আসামি এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।’