নির্বাচনী মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন সামসুল আলম

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের জন্য বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তৃণমূল নেতা মো. সামসুল আলম বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বিএনপির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন, যেন তারা মনে করেন দেশের উন্নয়ন ও সার্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দলটির নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার সময় এসেছে। সামসুল আলম প্রতীক হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন।

সতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দ্বিবার নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অত্যন্ত প্রভাবশালী। দলীয় নেতা হিসেবে দমন-পীড়নের সময়েও পাশে থাকেন, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বিশেষ করে ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে সিলেট থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।

বিনা পেছনে তাকানোর মধ্য দিয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে বিশাল অবদান রেখেছেন। রাস্তাঘাট, সেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ, মাদ্রাসা ও মসজিদের উন্নয়নে তার উদ্যোগে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তিনি মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ছাত্রসংসদের সমাজসেবা সম্পাদক থাকাকালে এবং ঢাকার তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, এই সময় পাক সেনারা তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি আধুনিক উপজেলা গড়ে তুলতে বিদেশ সফর করেছেন, যেমন ১৯৮৮ সালে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর সফর।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসাই আমার পক্ষে থাকতে শক্তি। আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির নীতিমালা ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আগামীতেও এই দলের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’ তিনি আরো জানান, ২০১৪ সালে বিএনপি সেই সময়ের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়। তাঁর ভাষায়, ‘‘আমি নিজের স্বপ্ন ও জাতির স্বপ্নের জন্য কাজ করে যাব, যেন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া আধুনিক ও উন্নয়নশীল উপজেলা হিসেবে পরিচিত হয়।’’