ইহুদিদের সমর্থনে জোহরান মামদানির প্রার্থিতার কারণ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২৫ বিশ্বের অন্যতম বড় ইহুদি সামর্পদায় নিউইয়র্ক শহর, যেখানে প্রায় এক মিলিয়ন ইহুদি বাস করে, এটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এই সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও স্বার্থে বিভক্ত হলেও, নির্বাচনকালীন সময়ে তারা একত্রিত হয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বৃহৎ সমর্থন প্রদান করছে। আগামী ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের জন্য অনুষ্ঠেয় প্রাইমারিতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানিকে মোট ৪৩ শতাংশ ইহুদি ভোট দিয়েছে বলে জরিপে জানা গেছে। বিশেষ করে ৬৭ শতাংশের বেশি ৪৪ বছরের নিচের ইহুদি ভোটার তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক ইহুদিরা তাকে সাধারণভাবে ইহুদিবিদ্বেষী বলে সমালোচনা করলেও, তার প্রতি ব্যাপক সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হলো, এই প্রার্থী ইহুদিদের জন্য মৌলিক অধিকার, যেমন বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের সংগ্রামে লিপ্ত সাধারণ ইহুদিরা মনে করেন, জোহরান তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এর পাশাপাশি, ইহুদি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন যেমন ‘জিউশ ফর জোহরান’, ‘জিউশ ফর রেসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক জাস্টিস’ ও ‘জিউশ ভয়েস ফর পিস’ তার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। এই সংগঠনগুলো শুধু সম্প্রদায়ের মধ্যে নয়, নিউইয়র্কের সাধারণ মানুষের মধ্যেও নিজেদের বার্তা পৌঁছাতে সচেষ্ট। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া যেমন প্রচারকর্মী জ্যাকব ব্লুমফিল্ড বলেন, সমাজের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করার জন্য জোহরান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আরও জানান, তরুণ ইহুদিরা মনে করেন, ইসরায়েল তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন না, বরং তারা নিউইয়র্কে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম চালাচ্ছেন। ম্যাট কেটাইও, একজন অভিনেতা ও কৌতুকশিল্পী, জোহরানের ব্যক্তিত্ব ও পরিকল্পনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, যদিও কিছু রাজনৈতিক নেতা তার বিরুদ্ধে ইসলামবিরোধী ও ইহুদিবিদ্বেষী বক্তব্য দিচ্ছেন, তবে এই সমর্থকদের মতে, জোহরান শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। অনেকের ধারণা, ইসরায়েল সম্পর্কিত ব্যাপারে প্রজন্মের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। বয়স্কদের কাছে ইসরায়েল নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ হলেও যুবসমাজের পক্ষে তা খুবই বিতরণীয়। এক পাও, জাহরান মুসলিম এবং ইহুদি দলগুলির মধ্যে সংহতি বৃদ্ধির জন্য কাজ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এর মাধ্যমে পুরো নিউইয়র্ক ও নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হবে। তবে, বেশিরভাগ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মনে করেন, জোহরান সব কিছু বাস্তবায়ন করতে পারবেন না, তবে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। তার মূল লক্ষ্য হলো, সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের প্রত্যাশা ও চাহিদা বুঝে সেবা প্রদান। এই বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল বিষয়ক বিভাজন ও জোহরানের ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন বয়সের ও দৃষ্টিভঙ্গির মানুষের মধ্যে নানা মতান্তর থাকলেও, সব ইহুদি তাদের ভবিষ্যৎ ভাবনা ও সমর্থন জোহরানের সাথে যুক্ত। রাজনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এই নির্বাচনের ফলে নিউইয়র্কের সামাজিক বিভাজন ও ঐক্য দুটি নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: